1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের দেখতে গিয়েছিলেন জোলি

১৮ জুন ২০১৮

হলিউডের অভিনেত্রী ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইরাকে সিরীয় শরণার্থীদের দেখতে গিয়ে জানালেন, শরণার্থীদের জন্য অর্থায়নে ঘাটতি পড়েছে৷ রবিবার তিনি ইরাকের উত্তরাঞ্চলের ডোমিজ ক্যাম্পে যান৷

https://p.dw.com/p/2zlmd
ছবি: Reuters/A. McConnell/UNHCR

সেখানে প্রায় ৩৩ হাজার সিরীয় শরণার্থীর বাস৷ শরণার্থীদের ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় তিনি জানান, অর্থায়নে ঘাটতির জন্য সিরীয় শরণার্থীরা বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাটুকু পাচ্ছে না৷ ইউএনএইচসিআরের দূত হিসেবে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এখানকার মানুষ সব কিছু হারিয়ে শোচনীয় পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে৷ এখানে শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই৷ মৌলিক চাহিদা পূরণের কোনো ব্যবস্থাই নেই৷ মহিলা এবং বালিকারা যৌন হিংসার শিকার হচ্ছেন, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না৷ এসবের মূল কারণ, শরণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের ঘাটতি৷’’

এই বছর শরণার্থীদের জন্য ইউএনএইচসিআরের সংগৃহীত অর্থ মাত্র ১৭ শতাংশ, (যতটা অর্থ দরকার তার অর্ধেকই মাত্র পাওয়া গিয়েছে), যা গতবছরের তুলনায় অনেক কম৷

ইরাকের অর্ধ স্বশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের ডোমিজ ক্যাম্পে ৩৩ হাজার সিরীয় শরণার্থীর পরিদর্শনের সময় তিনি সংঘাত এড়ানোর উপায় খোঁজার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ শনিবার তিনি ইরাকের মোসুল নগরীতে গিয়েছিলেন৷তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস প্রায় তিন বছর ধরে মোসুল দখল করে ছিল এবং তাদের ঘোষিত ‘ইসলামিক খেলাফত-’এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল নগরীটি৷ তখনই মোসুলের প্রায় ৯ লাখ বাসিন্দা প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ এরপর অবশ্য ইরাকি বাহিনী গত বছর আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে মোসুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে৷ নগরীতে আবার মানুষ ফিরে আসতে শুরু করেন৷ বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকা মোসুলবাসীরা কাছাকাছি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে৷ পুনর্গঠনের কাজও ধীরে ধীরে চলছে৷

অভিনেত্রী জোলি পশ্চিম মোসুলের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তা ধরে হাঁটেন৷ মোসুল পরিদর্শনের পর জাতিসংঘের তরফে জোলি বলেন, ‘‘ইউএনএইচসিআরের দূত হিসেবে আমি যেসব জায়গা পরিদর্শন করেছি, তার মধ্যে এখানেই ধ্বংসচিত্র মারাত্মক৷ এখানকার মানুষ সব কিছু হারিয়েছে৷’’

২০০১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ক্যাম্পগুলো নিয়মিত পরিদর্শনে যান জোলি৷ এই নিয়ে তিনি পঞ্চমবার ইরাক পরিদর্শনে এলেন৷ 

মোসুলের চারিদিকে এখনও শুধুই ধ্বংসচিত্র৷ জোলির মতে, মানুষ এখানে পরিত্যক্ত৷ মৌলিক চাহিদা পূরণের উপায় নেই, ওষুধ নেই৷ 

এরকম স্থানের নিপীড়িত মানবজাতির উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী জোলি বলেন, ‘‘আমরা আশা করি, এই গোটা শহর পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে৷’’ বিশ্ববাসীর প্রতি মোসুলকে ভুলে না যাওয়ার আহ্বানও জানান এই অভিনেত্রী৷

পিএস/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)