টাকার বিনিময়ে নাগরিকত্বে উদ্বেগ ইইউ-র
৭ আগস্ট ২০১৮নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ইইউ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ জার্মান দৈনিক ডি ভেল্টে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান জাস্টিস কমিশনার ইয়েরা ইয়োরোভা৷
তিনি বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি অতীতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করে থাকলে তাকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে ইইউভুক্ত অনেক দেশ এবং এ সব দেশের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷
‘গোল্ডেন পাসপোর্টের' সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কমিশন ‘খুবই উদ্বিগ্ন' বলে জানান এই চেক রাজনীতিক৷
ডি ভেল্টকে ইয়েরোভা বলেন, ‘‘কেউ নাগরিকত্ব পেলে তিনি ইইউর নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেন এবং ইউনিয়নজুড়ে তার অবাধ চলাচলের সুযোগ থাকায় তাতে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়৷''
ইউরোপীয় ইউনিয়ন অপরাধী, দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ অর্থের ‘নিরাপদ স্বর্গ' হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
সাইপ্রাস, মাল্টা, গ্রিস, বুলগেরিয়া, পর্তুগাল, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ও হাঙ্গেরির মতো দেশগুলো বিনিয়োগের পুরস্কার হিসেবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সম্পদশালী রুশ, চীনা, আফ্রিকান ও তুর্কিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ডি ভেল্টের প্রতিবেদনে৷
মুদ্রাপাচার প্রতিরোধে জেটাভুক্ত দেশগুলোর নতুন ইইউ আইন গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন ইয়েরোভা৷
তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইইউতে কোনো ট্রয়ের ঘোড়া চাই না৷''
অপরাধীদের যাতেনাগরিকত্ব দিয়ে ‘পুরস্কৃত' করা না হয় তা নিশ্চিতে কিছু সদস্য দেশের আরও পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই কমিশনার৷
কেউ ইইউ পাসপোর্ট পেলে তিনি জোটভুক্ত ২৮টি দেশে স্বাধীনভাবে চলাচলসহ অনেক অধিকারপ্রাপ্ত হন৷
বর্তমানে জোটের ১৩টি দেশ ‘গোল্ডেন ভিসা' দিচ্ছে৷ এগুলো হলো – অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, গ্রিস, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, মাল্টা, মোনাকো, পর্তুগাল, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য৷ ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে হাঙ্গেরিও গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম চালিয়েছে৷
এ বছরের প্রথম দিকে সাইপ্রাস তাদের দেওয়া গোল্ডেন ভিসার সংখ্যা সাতশ'র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা ঘোষণা করে৷
এএইচ/ডিজি