টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নেরা
২০০৩ সালে ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু করে৷ এর চার বছর পর ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়৷ আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে নবম আসর বসতে যাচ্ছে৷
২০০৭, ভারত
সাউথ আফ্রিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৫৭ বলে ১১৭ রান করেন ক্রিস গেইল৷ এটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শতক৷ ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান৷ গৌতম গম্ভীরের ৫৪ বলে ৭৫ রানের সুবাদে ভারত পাঁচ উইকেটে ১৫৭ রান করেছিল৷ জেতার জন্য পাকিস্তানের শেষ চার বলে ছয় রান দরকার ছিল৷ হাতে এক উইকেট৷ কিন্তু মিসবাহ আউট হয়ে যাওয়ায় পাঁচ রানে হেরে যায় পাকিস্তান৷ টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হন শহীদ আফ্রিদি৷
২০০৯, পাকিস্তান
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে লর্ডসে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যায় ইংল্যান্ড৷ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান৷ শ্রীলঙ্কার ১৩৮ রানের সংগ্রহ আট বল বাকি রেখেই পেরিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান৷ প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান৷
২০১০, ইংল্যান্ড
ক্যারিবিয়ানে আয়োজিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে হারায় ইংল্যান্ড৷ ছয় উইকেটে ১৪৭ রান করেছিল অসিরা৷ ক্রেইগ কিসওয়েটারের ৪৯ বলে ৬৩ ও কেভিন পিটারসেনের ৩১ বলে ৪৭ রানের সুবাদে তিন ওভার বাকি থাকতে জিতে গিয়েছিল ইংলিশরা৷ টর্নামেন্ট সেরা হন কেভিন পিটারসেন৷
২০১২, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বাংলাদের বিপক্ষ ৫৮ বলে ১২৩ রান করেছিলেন৷ এটি এখনও এই টুর্নামেন্টের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান৷ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৩৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ ক্যারিবীয়দের করা ১৩৭ রান লঙ্কানরা তাড়া করতে ব্যর্থ হয়, যদিও সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নয় উইকেটে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার হন অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন৷
২০১৪, শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ তার আগে সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২০১২ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ ফাইনালে কোহলি ৫৮ বলে ৭৭ রান করলেও ভারত মাত্র ১৩০ রান তুলতে পেরেছিল৷ ১৩ বল হাতে রেখে সেটি পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা৷ ৩৫ বলে ৫২ রান করেছিলেন সাঙ্গাকারা৷ টুর্নামেন্ট সেরা হন কোহলি৷
২০১৬, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ভারতে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভারটি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস৷ চ্যাম্পিয়ন হতে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ক্যারিবীয়দের৷ প্রথম চার বলে ছক্কা মেরে সেই রান তুলে নিয়েছিলে কার্লোস ব্রেথওয়েট৷ ২০১৪ আসরের মতো সেবারও টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন বিরাট কোহলি৷
২০২১, অস্ট্রেলিয়া
আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ঐ বিশ্বকাপের সুপার ১২তে পাকিস্তান ভারতকে হারিয়েছিল৷ সেটি ছিল ২০ বা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ১৩ বারের চেষ্টায় ভারতকে পাকিস্তানের প্রথম হারানো৷ ফাইনালে কেন উইলিয়ামসনের ৪৮ বলে ৮৫ রানের সুবাদে ১৭২ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড৷ তবে ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৮ বলে ৫৩ ও মিচেল মার্শের ৫০ বলে ৭৭ রানের সুবাদে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ টুর্নামেন্ট সেরা হন ডেভিড ওয়ার্নার৷
২০২২, ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ শ্রীলঙ্কা হেরেছিল নামিবিয়ার কাছে৷ সুপার টুয়েল্ভে আয়ারল্যান্ড হারায় ইংল্যান্ডকে আর নেদারল্যান্ডস সাউথ আফ্রিকাকে৷ ফাইনালে ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন ১২ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ১৩৭ রানে বেঁধে রাখতে সহায়তা করেন৷ পরে সেটি সহজেই পেরিয়ে যায় ইংলিশরা৷ টুর্নামেন্ট সেরা হন স্যাম কারেন৷