টিউনিসিয়ার সীমান্তে এক দল লিবীয় সেনার আত্মসমর্পণ
২১ এপ্রিল ২০১১কিন্তু তা সত্ত্বেও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অবরুদ্ধ শহর মিসরাটার ওপর সরকারি সেনাদের বোমা বর্ষণ বন্ধ থাকেনি৷
বিদ্রোহী পক্ষ, বলা যেতে পারে, টিউনিসিয়ার সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ এক সাফল্য পেল৷ টিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএপি জানিয়েছে, একজন জেনারেল সহ লিবিয়ার তেরোজন অফিসার ও সৈনিক সীমান্তে টিউনিসিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে৷ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আশ্রয় নিতেই তাদের এই আত্মসমর্পণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ পশ্চিমের পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় হাজার হাজার লিবীয় নাগরিক সাম্প্রতিক দিনগুলিতে এসে পৌঁছচ্ছে দক্ষিণ টিউনিসিয়ায় এবং সীমান্ত শহর দেহিবায়৷ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে খবর দেয়া হয়েছে যে, এই সীমান্তের অদূরে প্রচণ্ড লড়াই চলে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত৷ এই এলাকা তেমন জনবসতিবহুল নয়৷ ফলে এখানকার লড়াই-এর খবর উপকূলবর্তী শহর মিসরাটা আর আজদাবিয়ার ওপর হামলার খবরের মত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দৃষ্টি কাড়ছে না৷
পশ্চিমের দিক থেকে সামরিক অভিযান আরো জোরদার করার হুমকি সত্ত্বেও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত মিসরাটা শহরের ওপর গাদ্দাফি অনুগত বাহিনীর গোলাবর্ষণ অব্যাহত থেকেছে৷ দেশের পশ্চিমে লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম এই শহরই বিদ্রোহীদের শেষ শক্ত ঘাঁটি৷ প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে গাদ্দাফির বাহিনী এ শহর অবরোধ করে রেখেছে৷ বহু মানুষ সেখানে হতাহত৷ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে যে আন্তর্জাতিক সামরিক তৎপরতা চলেছে লিবিয়ায়, তার সুফল সম্পর্কে বিদ্রোহীরা হতাশ৷ তারা মনে করছে, বড্ড বেশি সতর্কতার সঙ্গে এই অভিযান চালানো হচ্ছে৷
ফ্রান্স বলছে, তারা ১০ জনের মত সামরিক উপদেষ্টা পাঠাবে৷ ব্রিটেন বলেছে, বিদ্রোহীদের সাংগঠনিক ও যোগাযোগের ক্ষমতা বাড়াতে তারা ১২ জনের মত সামরিক অফিসার পাঠাবে৷ তবে বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করার বা প্রশিক্ষণ দেয়ার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই৷ এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ লিবিয়ায় পশ্চিমের কোন স্থলসেনা তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তা সাঙ্ঘাতিক ঝুঁকির ব্যাপার হবে এবং তার পরিণাম কী হবে তা জানা নেই৷ তবে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই মোটামুটি দীর্ঘ এক লড়াই-এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: জাহিদুল হক