টেক্সাসে ট্রাকে ৫০ জন অভিবাসন-প্রত্যাশীর দেহ
২৯ জুন ২০২২স্থানীয় মিডিয়া প্রথমে এই খবর করে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের এত বড় ঘটনা টেক্সাসে কখনো হয়নি। স্যান অ্যান্তোনিও থেকে মেক্সিকোর সীমান্ত ২৫০ কিলোমিটার দূরে।
১৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার রাতে জানিয়েছেন। পরে হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে
কর্মকর্তাদের মতে, মৃতরা সকলেই অভিবাসন-প্রত্যাশী। অ্যামেরিকা ও মেক্সিকোর সীমান্তে অপহরণ ও মানবপাচার নিত্যদিনের ঘটনা। তবে এত বড় মাপের ঘটনা কখনো ঘটেনি।
দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেহগুলি খুব গরম ছিল এবং দেখে মনে হচ্ছিল, তারা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা সরকারি কর্মকর্তারা জানাননি।
পরে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভয়ংকর গরমের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এখনো পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টেক্সাস ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী. মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। তদন্তও শুরু হয়েছে। শহরের মেয়র রন নিরেনবার্গ বলেছেন, ''অভিবাসন-প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি একটা মানবিক সংকট। কিন্তু এখানে যা হয়েছে তা হলো মানবিক ট্র্যাজেডি। তার অনুরোধ, সকলে যেন প্রার্থনা করেন, সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখেন, তাদের পরিবারের কথা চিন্তা করেন।''
টেক্সাসের ওই অঞ্চলে এখন খুবই গরম। সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারই মধ্যে ওই ব্যক্তিদের ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
কোন দেশের মানুষ
মেক্সিকোর কনসুলেট থেকে অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, মোট ৫০ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে ২২ জন মেক্সিকোর নাগরিক।
হন্ডুরাসও খোঁজখবর নিচ্ছে, তাদের দেশের কেউ মারা গেছেন কি না। কিন্তু এখনো মার্কিন কর্মকর্তারা জানাননি, ট্রাকে মৃত মানুষরা কোন দেশের।
বাইডেনের সমালোচনা
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট টুইট করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নীতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওপেন বর্ডার বা খোলা সীমান্ত নীতি নিয়ে চলছেন। যার ফল মারাত্মক হতে বাধ্য।
জিএইচ/এসজি (এপি, রয়টার্স)