1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্যাংকার জব্দ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বিট্রিশ মন্ত্রিসভা

২২ জুলাই ২০১৯

ইরানের ব্রিটিশ ট্যাঙ্কার জব্দ করার ঘটনায়, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভা৷ যুক্তরাজ্য জানিয়েছে হরমুজ প্রণালীতে জলযান চলাচল নিরাপদ করাকে ‘অগ্রাধিকার' দেয়া হচ্ছে৷৷

https://p.dw.com/p/3MWt3
Britischer Tanker Stena Impero
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Stena Bulk

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের নেতৃত্বে এই জরুরি বৈঠকে অংশ নেবেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য, নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাপ্রধানরা৷ এর মধ্য দিয়ে, লন্ডন তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে৷

শুক্রবার উপসাগরীয় অঞ্চলে হরমুজ প্রণালিতে ব্রিটিশ পতাকাবাহীট্যাংকার স্টেনাইমপেরো জব্দ করা নিয়ে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে৷ সংকট নিরসনের বদলে ইরানের এমন আচরণকে ‘চরম হতাশার' বলেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট৷

ফ্রান্স আর জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন জেরেমি হান্ট৷ বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, হরমুজ প্রণালিতে সব উত্তেজনা বন্ধ করে স্বাভাবিক নৌ চলাচল নিশ্চিত করাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো৷

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে ইরানের এই আচরণকে ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ' হিসেবে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য৷ সোমবার বিকেলের মধ্যে এ ঘটনায় সরকারের অবস্থান সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন হান্ট৷

তেহরানের প্রতিশোধ?

ইরানের দাবি, মাছ ধরার একটি নৌকাকে আঘাত করার পর ব্রিটিশ ট্যাঙ্কারটি জব্দ করেছে রেভল্যুশনারি গার্ড৷ ইরানের অভিযোগ, ব্রিটিশ পতাকাবাহী ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরো ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখেছিল৷ ফলে সতর্কবার্তার কোনো উত্তর ট্যাংকার থেকে আসেনি৷ ফলে তদন্তের পরই ট্যাংকার এবং তার ২৩ নাবিকের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে৷

পর্যবেক্ষকরা এই ঘটনাকে ইরানের প্রতিশোধ হিসেবেই দেখছে৷ কারণ চলতি মাসের শুরুতেই জিব্রাল্টার প্রণালিতে ইরানের একটি জাহাজ জব্দ করেছিল যুক্তরাজ্য৷

ট্যাংকার জব্দ করার আগে ব্রিটিশ রণতরী এইচএমএস মনট্রোসের সঙ্গে রেডিওতে কথা বলে ইরান৷ নিরাপত্তার কারণ স্টেনা ইমপেরো তদন্ত করতে চেয়েছিল তারা৷

প্রকাশিত ওই অডিও বার্তায় শোনা যায়, স্টেনা ইমপেরোকে গতিপথ পরিবর্তনের কথা বলেছিল ইরানি নৌসেনারা৷ তাঁরা ইংরেজিতে বলেছিল, ‘‘যদি তোমরা সরে দাঁড়াও, তাহলে তোমরা নিরাপদ থাকবে৷''

কিন্তু ব্রিটিশ রণতরীর পক্ষে বলা হয়, স্টেনা ইমপেরো আন্তর্জাতিক জলসীমায় আছে৷ তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে ট্যাংকারটির গতিপথ রুদ্ধ করা বা বাধা দেয়ার সুযোগ নেই৷

কিন্তু এমন কথোপকথনের পরেও, নিরাপত্তার অজুহাতে জাহাজটি তল্লাশি করার কথা জানানো হয় ইরানের পক্ষ থেকে৷ মনট্রোস আগের কথা আবারও পুনরাবৃত্তি করে, তা সত্ত্বেও ইরানি সেনারা ট্যাংকারটি জব্দ করে৷

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ৷ তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছে করেই যুক্তরাজ্যেক টেনে এনে জলঘোলার চেষ্টা করছে৷ ‘আমাদের বিচক্ষণতা আর দূরদর্শিতা এ বিরোধ মেটাতে পারে'- নিজের ট্যুইটারে এভাবে লিখেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

টিএম/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য