1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

ট্রাইব্যুনালে গেলে মনে হয় আমি কর্মচারী তারা মালিক: অ্যাডভোকেট নাজনিন নাহার

২০ জানুয়ারি ২০২৫

ঢাকায় মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বিচার প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায় কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।

https://p.dw.com/p/4pOVB

জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় পরিদর্শনের পরের দিন আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে ডয়েচে ভেলে৷ কিন্তু স্বজনদের অনেকেই প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। সাবেক এক মন্ত্রীর স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আসলে আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছিনা যে কী হচ্ছে। আমরা ভালো কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারছি না। কারাগারে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছি না। কারাগারে ডিভিশনের আদেশ দেয়া হলেও বাস্তবে ডিভিশন দেয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ন্যায়বিচার পাবো কিনা জানি না”

তবে পরিচয় প্রকাশ করেই কথা বলেছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের বোন অ্যাডভোকেট নাজনিন নাহার। তিনি জিয়াউল আহসানের আইনজীবী হিসাবেও কাজ করছেন। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনালে অনেক সমস্যা আছে। ট্রাইব্যুনালে গেলে মনে হয় আমি কর্মচারী তারা মালিক। আমাদের সাথে সেই আচরণ করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, সঙ্গে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট নিতেও খুব সমস্যায় পড়তে হয়৷ সোমবার ফটোকপি করতে বাইরে পাঠানোর পর অ্যাসিস্ট্যান্টকে আর ঢুকতে দেয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘এম আই ফারুকী সাহেব আমার সিনিয়র। উনি বয়ষ্ক মানুষ। ওনাকে সেখানে নিয়ে যেতে দুইজন লোক লাগে। আমি যখন ট্রাইব্যুনালে যাই, তখন এটার জন্য অনেক ফাইট করতে হয়। খুব কড়াকড়ি করা হয়, কোনো গ্যাজেট নিতে দেয়া হয় না। ল্যাপটপ, মোবাইল, এমনকি ঘড়িও নিতে দেয়া হয় না৷ আর আমি যখন আইনজীবী হিসবে আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলি, সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন থাকে। ওয়ান টু ওয়ান কথা বলতে দেয়া হয় না। এটা তো নিয়ম না৷তাই অনেক সময় আমাদের কানেকানে কথা বলতে হয়,'' বলেন তিনি।

ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এখন যিনি ট্রাইব্যুনালের প্রধান, তাকে আমি কখনো হাইকোর্টে বিচারক হিসাবে দেখিনি। আমার ভুলও হতে পারে। আর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাহেব তো আগে ডিফেন্স (আসামি পক্ষ) ল-ইয়ার ছিলেন। সেই মামলাগুলো কিন্তু এখনো শেষ হয়নি।”

‘‘আর এখনো মূল বিচার কাজ শুরু হয়নি। তদন্ত চলছে,''  বলেন তিনি।