1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিয়েতনামে ট্রাম্প-কিম বৈঠক

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বুধ ও বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামে অ্যামেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ট্রাম্প ফলাফল সম্পর্কে বেশ আশাবাদী৷ অ্যামেরিকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বৈঠকের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷

https://p.dw.com/p/3E9de
হ্যানয় শহরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/L. Millis

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় শহরে বুধবার সন্ধ্যায় নৈশভোজে দ্বিতীয়বারের মতো মিলিত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন৷ এ দিন দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সংলাপ চলছে৷ তাঁরা ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী৷ ট্রাম্প এই সাক্ষাৎ সম্পর্কে আগে থেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর আশা, এই আলোচনার ফল অত্যন্ত ইতিবাচক হবে৷ উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ‘মাই ফ্রেন্ড কিম' হিসেবে বর্ণনা করে তিনি নিজেদের উষ্ণ ব্যক্তিগত রসায়নের ইঙ্গিত দিচ্ছেন৷ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দফায় দফায় আলোচনা হবার কথা৷

গত বছর জুন মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথম শীর্ষ বৈঠকের পর থেকে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প৷ উত্তর কোরিয়া অবশ্য পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয় নি৷ ফলে সে দেশের উপর জাতিসংঘ ও অ্যামেরিকার নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হয় নি৷ অথচ চরম দুর্দশা কাটাতে উত্তর কোরিয়ার দ্রুত আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন৷ পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এমন প্রেক্ষাপটে এমনকি প্রতীকী হলেও কিছু অগ্রগতির আশা করছেন কিম জং উন৷ হ্যানয় বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ অবসানেরও ঘোষণা করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷ উত্তর কোরিয়া প্রথম বার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জায়গায় প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে৷ এতকাল দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে অগ্রগতির অভাবের জন্য ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলকেও দায়ী করেন৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে ভিয়েতনামের সাফল্যকে বার বার তুলে ধরছেন৷ তাঁর মতে, সঠিক পথে অগ্রসর হয়ে ভিয়েতনাম আজ যে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে, পিয়ং ইয়ং-ও দ্রুত সেই অবস্থায় পৌঁছতে পারে৷ ভিয়েতনামের নেতৃত্বের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতেও তিনি সে দেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন৷

ট্রেনে চেপে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভিয়েতনাম পৌঁছে কিম জং উন এই শীর্ষ বৈঠক সম্পর্কে তেমন উচ্চবাচ্য করছেন না৷ তিনি হ্যানয় শহরে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস ভবন পরিদর্শন ছাড়া হোটেলের বাইরে যান নি৷

ট্রাম্প-কিম বৈঠকের উপর কালো ছায়া ফেলছে ওয়াশিংটনের কিছু ঘটনা৷ বুধবারই ট্রাম্প-এর প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোয়েন সংসদ সদস্যদের জেরার মুখে প্রেসিডেন্টের ‘কুকীর্তি'-র বিবরণ দিতে পারেন৷ প্রকাশ্যে এই শুনানির সময় গোটা দেশ সেই বয়ান শুনতে পারবে৷

তাছাড়া মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার স্বার্থে ট্রাম্প জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় সংসদে সেই সিদ্ধান্ত বানচাল করার উদ্যোগ চলছে৷ এমনকি সীমান্তে শরণার্থী পরিবারের সদস্যদের আলাদা করার নীতি বন্ধ করতেও কংগ্রেস পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ তবে কোয়েন-এর বয়ান নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগছে ট্রাম্প শিবির৷ তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷ ডেমোক্র্যাটিক দলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের অবসানে ব্যর্থতার পর অবশেষে এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই কাজ করতে চাইছেন৷ তাঁর মতে, এমন এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ম্লান করে দিতে এই শুনানি রাখা হয়েছে৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি. ডিপিএ)