ট্রাম্পকে এখনই বের করে দিতে চান ডেমোক্র্যাটরা
১১ জানুয়ারি ২০২১ক্যাপিটলে তাঁর সমর্থকদের তাণ্ডবের আঁচ এ বার ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। আর নয় দিন পরেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেতে হবে তাঁকে। দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, ট্রাম্পের উস্কানিতেই পুরো তাণ্ডব হয়েছে। তাই তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি রোববার বলেছেন, তাঁরা প্রথমে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করতে চাইবেন, যেখানে ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করা হবে, তিনি যাতে সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনে দেয়া ক্ষমতার প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতে কাজ না হলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব নেয়া হবে।
আগেও একবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়েছিল। কিন্তু তা অনুমোদিত হয়নি। রিপাবলিকানদের সমর্থন না পেলে তা হওয়া কঠিন। এ কথা ঠিক, রিপাবলিকান নেতারাও ক্যাপিটল-তাণ্ডব নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু তার মানে রিপাবলিকান পার্টি ট্রাম্পকে সরাতে চাইবে,এমন নয়।
কিন্তু যেখানে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার মেয়াদ আর মাত্র কয়েকদিন, সেখানে কেন তাঁকে ইমপিচ করতে চাওয়া হচ্ছে? পেলোসি জানিয়েছেন, ''আমাদের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্রাম্প গণতন্ত্র ও সংবিধানের ক্ষেত্রে বিপদের কারণ।''
তবে ডেমোক্র্যাটরা একটা কৌশল নিতে পারেন। তা হলো, অভিশংসন প্রস্তাব অবিলম্বে নিয়ে আসা। কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে এগনো হবে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর। ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লিবার্ন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে তাঁর নিজের কর্মসূচি ঠিকভাবে চালু করতে বাইডেনের একশ দিন চাই।
আরেক ডেমোক্র্যাট নেতা ট্রেড লিউ বলেছেন, তাঁর আশা, ভাইস প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ২৫ তম সংশোধন অনুসারে ক্ষমতার ব্যবহার করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেছেন, ''স্পিকার পেলোসি সহ আমরা সকলে চাই, ট্রাম্প নিজে ইস্তফা দিন। না হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ২৫ তম সংশোধন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি কোনোটাই না হয়, আমরা ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য প্রস্তাব আনব। তা হলে আগামী সপ্তাহে তা নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।'' ডেমোক্র্যাটদের আশা, রিপাবলিকান নেতারাও এবার তাঁদের প্রস্তাব সমর্থন করবেন।
ক্যাপিটলের ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রোববার হোয়াইট হাউসে পতাকা অর্ধনমিত ছিল।
ঘটনা হলো, দলেও ট্রাম্প ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন। ইতিমধ্যে দুই জন রিপাবলিকান সেনেটার ক্যাপিটল নিয়ে ট্রাম্পের নিন্দা করেছেন। রিপাবলিকান সেনেটার প্যাট টুমে তো ট্রাম্পের পদত্যাগও দাবি করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক রিপাবলিকান গভর্নর আর্নল্ড শুয়ার্জনেগার ক্যাপিটলের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর ১৯৩৮ সালে হাউস অফ ব্রোকেন গ্লাসের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। প্রাউড বয়েসদের সঙ্গে নাৎসীদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন তিনি।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)