1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার পথে এগিয়ে বাইডেন

Sanjiv Burman১১ মার্চ ২০২০

মঙ্গলবার অ্যামেরিকার ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রাইমারি পর্বে আবার সাফল্যের মুখ দেখলেন জো বাইডেন৷ পূর্বাভাষ অনুযায়ী তিনি বার্নি সান্ডার্সকে পেছনে ফেলে জয়যাত্রা জারি রেখেছেন৷

https://p.dw.com/p/3ZCKN
ডেমোক্র্যাটিক দলের অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন
ছবি: Reuters/B. McDermid

চলতি বছর অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার দৌড়ে আরও এগিয়ে গেলেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ মঙ্গলবার ছ'টি রাজ্যে ভোটগ্রহণের পর বাইডেনের জয়যাত্রা নিয়ে তেমন কোনো সন্দেহ থাকছে না৷ বিশেষ করে মিশিগান রাজ্যে ভোটের বিচারে তাঁর জয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়নের পথে কার্যত আর কোনো বাধা থাকবে না৷ মিসিসিপি ও মিসৌরি রাজ্যেও শীর্ষে রয়েছেন বাইডেন৷ বাকি রাজ্যগুলির চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে নর্থ ডাকোটা ও ওয়াশিংটন রাজ্যে সান্ডার্স জয়লাভ করতে পারেন৷ গণনার শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল জানা যাবে৷

মঙ্গলবারের প্রাইমারির পর উচ্ছ্বসিত বাইডেন এক ভাষণে বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ ঘোর সংশয় প্রকাশ করেছিলেন৷ অথচ মরার বদলে যথেষ্ট প্রাণশক্তি দেখা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ‘সুপার টিউজডে' প্রাইমারি পর্বে বাইডেন ১৪টির মধ্যে ছ'টি রাজ্যে জয়লাভ করে অতীতের ব্যর্থতা মুছে ফেলতে পেরেছিলেন৷ সেই ধাক্কায় বার্নি সান্ডার্স ছাড়াদলের সব অবশিষ্ট প্রার্থী আসর ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন

মিশিগান রাজ্যে পরাজয় মেনে নিলে বার্নি সান্ডার্সের পক্ষে মনোনয়নের দৌড়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠবে৷ প্রথম দিকে নিজের জয়যাত্রা নিশ্চিত করতে পারলেও সুপার টিউজডে পর্বের পর তিনি বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন৷ ছ'টি রাজ্যে মোট ৩৫২ জন ডেলিগেটের মধ্যে যথেষ্ট সমর্থন না পেলে তাঁকেও সম্ভবত আসর ছেড়ে বিদায় নিতে হবে৷ এতকাল ব্যাপক সমর্থনের ঢেউয়ের পর এমন পরিস্থিতি সান্ডার্স শিবিরের জন্য বেশ বেদনাদায়ক হয়ে উঠছে৷

বাইডেনের আচমকা সাফল্যের পেছনে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের পাশাপাশি মধ্যপন্থি ভোটারদের সমর্থন কাজ করছে৷ অন্যদিকে সান্ডার্স সমাজতন্ত্র-ঘেঁষা, বামপন্থি, প্রগতিশীল সংস্কারের প্রস্তাব সামনে রেখে কিছু সমর্থককে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন৷ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব রুখতে সাহসি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু এমন ‘ব়্যাডিকাল' মনোভাবের কারণে ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থক তাঁর প্রতি আস্থা দেখাতে পারছেন না৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এমন চিত্র উঠে আসছে৷

ব্যর্থতা সত্ত্বেও সান্ডার্স প্রাইমারি পর্বে টিকে থাকলে দুই প্রার্থীর মধ্যে কেউই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে জুলাই মাসে ডেমোক্র্যাটিক দলের সম্মেলনে ডেলিগেটরা সংকটের মুখে পড়তে পারেন৷ তার উপর করোনা ভাইরাসের কারণে দুই প্রার্থীকেই বেশ কিছু জনসভা বাতিল করতে হচ্ছে৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তাঁদের পক্ষে প্রচার অভিযান চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠবে৷ আগামী ১৫ই মার্চ পরবর্তী পর্যায়ে ভোটগ্রহণ পর্বে দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার কথা৷ তার আগে টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টুডিওয় কোনো দর্শক রাখা হবে না৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)