ভোট পিছু পাঁচ ডলার!
১৩ নভেম্বর ২০১৬সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে জানেন ট্রাম্প৷ সেই সঙ্গে ছিল তাঁর বাগাড়ম্বর৷ তার ওপর নিখর্চায় টিভি টাইম জোগাড় করায় তিনি সিদ্ধহস্ত৷ এই তিনের সংমিশ্রণে ক্লিন্টনের প্রায় অর্ধেক খরচে নির্বাচন সাঙ্গ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সফলভাবে৷ অন্তত রয়টার্সের বিশ্লেষণ তাই বলছে৷
ট্রাম্পের ‘মিডিয়া-স্যাভি ক্যামপেইন' আর ‘কস্ট-এফেক্টিভ' জয়ের ফলে অ্যামেরিকায় এখন নির্বাচন জেতার নতুন মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ তবে ট্রাম্পের জয়ের একটা বড় উপাদান ছিলেন তিনি নিজেই৷ তাঁর নিজের নামের নানা লাক্সারি হাইরাইজ, হোটেল ও ক্যাসিনো; তিনি রিয়্যালিটি টিভির স্টার; এছাড়া তাঁকে নিয়ে সর্বক্ষণ বিতর্ক চলার ফলে তিনি সবসময়েই নিউজে রয়েছেন – এ সব করার ক্ষমতা না থাকলে শুধু প্রচারণার খরচ কমিয়ে ট্রাম্প পার পেতেন না৷
২০১৫ সালের জুন মাসে তাঁর প্রচার অভিযান শুরু করা যাবৎ ট্রাম্প অন্তত ২৭ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছেন, যা কিনা বারাক ওবামা ২০১২ সালে তাঁর পুনর্নির্বাচনের জন্য যা খরচ করেছিলেন, তার এক-তৃতীয়াংশ৷ ট্রাম্প যদি সব মিলিয়ে প্রায় ছয় কোটি ভোট পেয়ে থাকেন, তবে তাঁর ভোট পিছু খরচ হয়েছে কম-বেশি পাঁচ ডলার৷
অপরদিকে ডাটা অ্যানালিটিক্স সংস্থা মিডিয়াকোয়ান্ট বলছে, ট্রাম্প প্রায় ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের মিনি মাগনার মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন তাঁর ক্যামপেইন চলাকালীন, যা কিনা ক্লিন্টনের দ্বিগুণ৷ বার বার নিউজটাইম জুড়ে থেকেছেন তাঁর নানা প্ররোচনামূলক মন্তব্য দিয়ে – কখনো মহিলাদের সম্পর্কে; কখনো মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধের ডাক দিয়ে; কখনো মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ধুয়ো তুলে৷
ক্লিন্টন প্রায় ৫২ কোটি ডলার অনুদান সংগ্রহ করেন৷ তার মধ্যে প্রায় ২৪ কোটি ডলার যায় টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দিতে৷ এছাড়া বাইরে থেকে একাধিক পিএসি বা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি তাঁকে সাহায্য করেছে৷ কিন্তু শেষমেষ জিতেছেন ট্রাম্প৷ কাজেই মার্কিন নির্বাচনে অর্থসংগ্রহের প্রসঙ্গটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)