ড. ইউনূসকে শ্রম আদালতে তলব
১৩ জানুয়ারি ২০২০ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এ সমন জারি করেন বলে জানায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ আদালতের পেশকার মিয়া মো. জামাল উদ্দিন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আসামি সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিধান রয়েছে৷
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম গত ৫ জানুয়ারি ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলাটি করেন৷ মামলায় ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আব্দুল হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকরকে বিবাদী করা হয়েছে৷
এর আগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মীর পৃথক তিনটি মামলায় একই আদালত গত ৯ অক্টোবর ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল৷ পরে ৩ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি৷
নতুন মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল একজন পরিদর্শক গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স পরিদর্শন করে বিভিন্ন ত্রুটি দেখতে পেয়ে সেসব সংশোধনের নির্দেশনা দেন৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে ডাকযোগে বিবাদী পক্ষ জবাব দেয়৷ পরে মামলার বাদী ওই বছর ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও পরিদর্শনে গিয়ে ১০টি বিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পান এবং ২৮ অক্টোবর তা অবহিত করেন৷ তবে বিবাদী পক্ষ সময়ের আবেদন করেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব দাখিল করেনি। এতে বিবাদীরা বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন -২০১৩ এর ধারা ৩৩ (ঙ) এবং ধারা ৩০৭ মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন বলে বাদী অভিযোগ করেন৷
গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের বিরুদ্ধে যেসব বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বই না দেওয়া, কোম্পানির বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল না করা, কর্মীদের বছর শেষে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন না করা ইত্যাদি৷
এছাড়া কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়, ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্টার সংরক্ষণ না করা , কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করা এবং লভ্যাংশ বণ্টন না করা, সেফটি কমিটি গঠন না করা৷
বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের উদ্ভাবক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়৷
এসএনএল/কেএম