বিতর্কে ড. ইউনূস
২৩ আগস্ট ২০১৩গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে না৷ তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন শাসক দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির নেতারা৷
আওয়ামী লীগ নেতা এবং দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে ড. ইউনূস বিএনপির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন৷ কারণ সরকার সংবিধানের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন করবে৷ ওদিকে, বিরোধী দল বিএনপি দাবি করছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ তিনি বলেন, গত নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল৷ একটি অগণতান্ত্রিক সরকার দু'বছর ধরে জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল৷ তখন তো তিনি কোনো কথা বলেননি৷
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং তা নির্ধারিত সময়েই হবে৷ তিনি বলেন, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি৷ তাঁর উচিত নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকা, ‘বিতর্কিত' রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে তাঁর বিরত থাকা উচিত৷
অন্যদিকে বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ড. ইউনূস কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে নয়, তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন৷ তাঁর এই অবস্থান সব সময়ের৷ এখন আওয়ামী লীগ নেতারা ড. ইউনূসের মন্তব্যকে বিএনপির পক্ষে বললেও তিনি যদি ১৯৯৪, ১৯৯৫ সালে এ ধরণের কথা বলতেন তাহলে তা আওয়ামী লীগের পক্ষে যেত৷ কারণ তখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে৷ শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ এখন সেই অবস্থান পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায়৷ তাই আওয়ামী লীগ তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে, ড. ইউনূস নয়৷
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়৷ এমনকি আওয়ামী লীগের ভিতরেও অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে৷ যদিও তাঁরা তা প্রকাশ্যে বলতে পারেন না৷ দেশের মানুষ যা চায় সে কথাই বলেছেন ড. ইউনূস৷ তিনি কোনো দলের জন্য কথা বলেননি৷