কিন্তু কিভাবে?
২৩ মে ২০১৩কথা হচ্ছিল ডর্টমুন্ডের প্রাক্তন তারকা শিনজি কাগাওয়াকে নিয়ে৷ ২৪ বছর বয়সি এই জাপানি খেলোয়াড় গতবছর ডর্টমুন্ড ছেড়ে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চলে যান৷ মরশুমের শেষে লিগ চ্যাম্পিয়ন হবার কথাটা কাগাওয়া কতটা উপভোগ করতে পেরেছেন, সেটা অন্য কথা, কেননা তাঁকে অধিকাংশ সময় বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে, কিংবা তাঁকে নামানো হলেও, তাঁর পক্ষে অপরিচিত লেফ্ট-মিডফিল্ড পজিশনে খেলতে হয়েছে৷
‘‘শিনজি কাগাওয়া বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন৷ এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তাকে বিশ মিনিট খেলতে দেওয়া হয় – তাও লেফ্ট উয়িং-এ,'' গার্ডিয়ানকে বলেছেন ক্লপ৷ ‘‘(দেখলে) আমার বুক ভেঙে যায়৷ সত্যি, আমার চোখে জল আসে৷ শিনজির সেরা ভূমিকা হল সেন্ট্রাল মিডফিল্ড৷ ও হলো আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড, আর ওর মতো গোলের সুযোগ দেখার ক্ষমতা আমি খুব কমই দেখেছি৷''
‘‘কিন্তু অধিকাংশ জাপানির কাছে ম্যান ইউ-এর হয়ে খেলা ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলার চেয়ে বেশি দামি৷ ও যখন চলে যায়, তখন আমরা ২০ মিনিট পরস্পরের গলা জড়িয়ে ধরে কেঁদেছি,'' স্মরণ করেছেন ক্লপ৷ কাগাওয়ার যাওয়াই প্রথম কিংবা শেষ যাওয়া নয়৷ তার বছর খানেক আগে নুরি সাহিন ডর্টমুন্ড ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে যায় – ‘‘কেননা রেয়াল হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব,'' বলেছেন ক্লপ৷
ডর্টমুন্ডের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার মারিও গোয়েটৎসে আগামী মরশুমে বায়ার্নে যোগ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ আরো বড় কথা, পোল্যান্ড তথা ডর্টমুন্ডের স্টার স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোভস্কিকেও নাকি টানার চেষ্টা করছে বায়ার্ন৷ সব মিলিয়ে ক্লপের কথা হলো: ক্লাবের সেরা প্লেয়াররা যদি ক্লাবে না থাকে, তাহলে ডর্টমুন্ড জার্মান ফুটবলে বায়ার্নের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করবে কি করে?
‘‘প্লেয়াররা যদি ধৈর্য ধরে, তাহলে আমরা এই দলকে বিশ্বের সেরা দলগুলোর পর্যায়ে তুলতে পারি,'' এই হলো ক্লপের বিশ্বাস৷ এবং ক্লপ নিজেও ধৈর্য ধরতে জানেন৷ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল অভিমুখে ডর্টমুন্ডের কুচকাওয়াজের পর ক্লপের নাম ইউরোপের একাধিক নামি-দামি ক্লাবের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে৷ কিন্তু ক্লপ আপাতত কোথাও যেতে রাজি নন৷
‘‘বহু ক্লাব আছে, যেখানে আমি যদি আজ গিয়ে বলি: ‘প্রস্তাব দাও,' তাহলে তারা দৌড় দিয়ে আসবে৷ কিন্তু আমার তা-তে আগ্রহ নেই৷ আমার কাছে এখন এটাই হলো বিশ্বের সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ফুটবল প্রকল্প৷ তিন থেকে চার বছর বাদে যদি কেউ আমাকে চায়, তবে তা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে৷''
এসি/ডিজি (এএফপি)