1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাইঅক্সিন আতঙ্কে জার্মানির ৪,৭০০ খামার বন্ধ

৭ জানুয়ারি ২০১১

ডিমে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ডাইঅক্সিন পাওয়ার পর আগাম হুঁশিয়ারি হিসেবে ৪,৭০০ খামার বন্ধ করে দিয়েছে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য৷ বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/zug0
ছবি: dapd

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৪,৭০৯টি খামার এবং সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে ৪,৪৬৮টি খামারের অবস্থান জার্মানির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য লোয়ার স্যাক্সনিতে৷

আপাতত বন্ধ রাখা খামারগুলো ডাইঅক্সিন দূষিত কিনা তা পরীক্ষা করা হবে৷ শুধুমাত্র ডাইঅক্সিন মুক্ত খামারগুলোই পরবর্তীতে কাজ শুরু করতে পারবে৷ বলাবাহুল্য, মাত্রাতিরিক্ত ডাইঅক্সিন মানুষের শরীরে নানাবিধ রোগ, এমনকি ক্যান্সারেরও কারণ হতে পারে৷

এছাড়া রাজ্য কর্তৃপক্ষ গবাদি পশুর শুকনা খাদ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যেকোন উপাদান সরবরাহের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ বিশেষ করে লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷

Deutschland Dioxin in Lebensmittel Labor NO FLASH
পরীক্ষাগারে ডিম পরীক্ষা চলছেছবি: dapd

জার্মানিতে ঠিক কিভাবে গবাদি পশুর শুকনা খাদ্যে মাত্রাতিরিক্স ডাইঅক্সিন দূষণ ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি৷ তবে গত নভেম্বরে এবং ডিসেম্বরে লোয়ার সাক্সেনি রাজ্যে আড়াই হাজার টন দূষিত ফ্যাটি এসিড সরবরাহ করা হয়েছিল, যা পশু খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ হার্লস অ্যান্ড ইয়েন্ৎস নামক একটি প্রতিষ্ঠান খামারগুলোকে এই দূষিত ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

ডিসেম্বরের শেষের দিকে জার্মানিতে ডিমের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ডাইঅক্সিন সনাক্ত করা হয়৷ এরপরই দু'টি রাজ্যে এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ পরবর্তীতে আরো ১১টি জার্মান রাজ্যে ডাইঅক্সিন আতঙ্ক বাসা বাধে৷ লোয়ার সাক্সেনি ছাড়াও নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়ার ১৫২টি খামার বন্ধ রয়েছে এই আতঙ্কে৷

এদিকে, জার্মানি ছাড়াও নেদারল্যান্ডসে ডাইঅক্সিন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বুধবার জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানিয়েছে, ডাইঅক্সিন দূষিত খামারগুলো থেকে কমপক্ষে ১৩৬,০০০ ডিম কিংবা নয় টন গবাদি পশুর খাদ্য নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি করা হয়েছে৷

উল্লেখ্য, জার্মানিতে খামারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক