‘ডারবান জলবায়ু সম্মেলনে প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রগতির সম্ভাবনা কম'
১৮ নভেম্বর ২০১১জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কিয়োটো প্রোটোকল যে পথ দেখিয়েছিল, কোপেনহেগেন সম্মেলন সেই পথে এগোতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে৷ এবার ডারবান সম্মেলনের দিকেই সবার নজর৷ সেখানে সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা? এবিষয়ে মতামত জানিয়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত৷ ডয়চে ভেলে'কে তিনি জানালেন, এর আগের সম্মেলনগুলিতে যেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল, তার অগ্রগতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থতা রয়ে গেছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কর্মসূচিগুলি পিছিয়ে পড়েছে৷
এই প্রেক্ষাপটে ডারবান সম্মেলনেও প্রত্যাশা অনুযায়ী অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন না ড. আইনুন নিশাত৷ তবে অনুন্নত দেশগুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সাফল্যের সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে তিনি মনে করেন৷ তাছাড়া অর্থ ব্যয়ের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়টিরও একটা নিষ্পত্তি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধরে নিচ্ছেন৷
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার প্রশ্নে শুরু থেকেই শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে একটা বিভাজনরেখা টানা আছে৷ অ্যামেরিকা, ইউরোপ সহ শিল্পোন্নত বিশ্ব বহু দশক ধরে যে কার্বন নির্গমন করে আসছে, সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত মূলত তাদেরই করতে হবে বলে বাকিরা দাবি করে আসছে৷ কিন্তু এখন এই বিভাজনরেখা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে৷ দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো শিল্পোন্নত দেশ বা ভারত ও চীনের মতো উদীয়মান শক্তিধর দেশগুলিকে আর উন্নয়নশীল বিশ্বের মধ্যে ধরা চলে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে৷
আলোচনার গোটা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল, যার অন্যতম কারণ হলো সব প্রশ্নেই ১৯৪টি প্রতিনিধিদলকে ঐকমত্যে আসতে হয়৷ একটি দেশ বেঁকে বসলেই নতুন করে আলোচনা করতে হয়৷ ফলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ নয়৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক