ডিসেম্বরেই জার্মান চ্যান্সেলর হতে পারেন ওলাফ শলৎস
২২ অক্টোবর ২০২১২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অস্পষ্ট ফলাফলের প্রেক্ষাপটে দ্রুত সরকার গড়ার আশা কার্যত লোপ পেয়েছিল৷ কিন্তু প্রাথমিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে তিন দলের জোটের রূপরেখা অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ বৃহস্পতিবার সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থি এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দল সরকার গড়ার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে৷ নভেম্বর মাসেই সেই প্রক্রিয়া শেষ করে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎসের শপথ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে এই তিন দল৷ উল্লেখ্য, এর আগে শলৎস নিজে বড়দিনের আগে সরকার গঠনের আশা প্রকাশ করেছিলেন৷
একাধিক ক্ষেত্রে তিন দলের ভিন্ন অবস্থানের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করতে আগামী বুধবার থেকে তিন দলের বিশেষজ্ঞ রাজনীতিকদের ২২টি গোষ্ঠী কাজ শুরু করবে৷ ১০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ঐকমত্যের খসড়া প্রস্তুত করতে হবে৷ ততদিন পর্যন্ত যে সব বিরোধের মীমাংসা সম্ভব হবে না, সেগুলির ক্ষেত্রে মতপার্থক্য দূর করতে আসরে নামবেন তিন দলের প্রধান মধ্যস্থতাকারীরা৷ সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতেই বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, রাতে বা সপ্তাহান্তে সেই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবার কোনো পরিকল্পনা নেই৷ সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে নভেম্বের মাসের শেষেই কোয়ালিশন চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হয়ে যাবার কথা৷ তিন দলের শীর্ষ নেতাদের সেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে হবে৷ তারপর তিন দলকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেই খসড়া অনুমোদন করাতে হবে৷ সবুজ দল ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে দলের সায় নিতে চায়৷ এফডিপি এক জরুরি দলীয় সম্মেলনে সরকারে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করাবে৷ এসপিডি দল আগামী সোমবার সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে৷
জার্মানিতে ‘ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন' সরকার গড়ার লক্ষ্যে এমন পেশাদারি মনোভাব যথেষ্ট সম্ভ্রম কুড়াচ্ছে৷ এখনো পর্যন্ত তিন দলের নেতারা যথেষ্ট পরিণতমনস্কতা দেখিয়ে এসেছেন৷ তিন দলই বিরোধী আসনে না বসে ক্ষমতাকেন্দ্রের অংশ হয়ে আগামী চার বছর নিজস্ব নীতি যতটা সম্ভব কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কার্যকালের পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল সংস্কার চালানোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায় এই তিন দল৷ জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক সময়ে কার্যকর করতে পারলে ম্যার্কেল মাত্র কয়েক দিনের জন্য চ্যান্সেলর হিসেবে দীর্ঘতম কার্যকালের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন না৷ হেলমুট কোলই সেই কৃতিত্বের দাবিদার থেকে যাবেন৷
এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)