ডেভিড বেকহ্যামের ‘ছেলেখেলা'
১ নভেম্বর ২০১৩তবে বেক্স বিনয়ী লোক: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, কালে ব্রুকলিন তাঁর দলে খেলার যোগ্য হবে বলে তিনি আশা করেন৷ তবে বাবার পদাঙ্কনুসরণ করার জন্য তিনি ছেলেদের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করার ব্যাপারে অতীব সাবধানী৷ এবং তাঁর এই সাবধানতার কারণ আছে৷
ডেভিড ও ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে: ব্রুকলিন (জন্ম ১৯৯৯), রোমিও (জন্ম ২০০২), ক্রুজ (জন্ম ২০০৫) এবং হার্পার (জন্ম ২০১১ সালে)৷ ছেলেদের সম্বন্ধে বেক্সের মনোভাব হলো: ‘‘ছেলেরা যতদিন খুশি থাকে, যতদিন তাদের ফুটবল খেলতে ভালো লাগে, ততদিন তারা পেশাদারি পর্যায়ে খেলুক আর সানডে লিগ-এ খেলুক, তা-তে আমার কিছু যায় আসে না৷''
কিন্তু কথায় বলে, বাপ কা বেটা, সিপাই কা ঘোড়া৷ ১৪ বছর বয়সি ব্রুকলিন ইতিমধ্যেই লোকের নজর কাড়তে শুরু করেছে: বাবা যখন এমএলএস-এর হয়ে খেলছেন, তখন সে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির যুবদলের হয়ে খেলেছে৷ চেলসি এবং কুইন্স পার্ক রেঞ্জারদের সঙ্গে ট্রেনিং করার সময়ে মিডিয়ার স্পটলাইট ছিল ব্রুকলিনের উপর – বেকহ্যাম যেটাকে খুব দুঃখজনক বলে মনে করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁর ছেলেদের মাথা ঠাণ্ডা বলে বেকহ্যামের ধারণা৷ তারা মজা করতে জানে৷ তারা ফুটবল খেলতে ভালোবাসে৷ কাজেই তাদের পেশাদারি ফুটবলে আসা সম্পর্কে বেকহ্যামের মন্তব্য হলো: ‘‘দেখা যাক৷''
সজনে কেন খাড়া
শুধু খেলাধুলার জগতে কেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই নাম-করা বাবা-মায়ের সন্তানেরা যে ঈশ্বরদত্ত প্রতিভার কিছু অংশ পকেটে নিয়েই জন্মগ্রহণ করবে, এ প্রত্যাশা মানুষের চিরকালের৷ একটা জিনেদিন জিদানকে পেতে যখন কোন-না-কম একটা গোটা প্রজন্ম কাটিয়ে দিতে হয়, তখন সেই জিদানের ঘরে চার-চারটে খোকা জিদান বাপের সঙ্গে ফুটবল খেলছে শুনলে কোন ক্লাব প্রেসিডেন্ট, কোচ কিংবা ম্যানেজারের চোখ চকচক করে উঠবে না? বিশেষ করে সেই আশ্চর্য খোকাদের বল নিয়ে কেরামতির ছবি যদি ইউটিউবে পর্যবেক্ষণ করা যায়৷
জিদান আর ভেরোনিকের চার ছেলে: এনজো (জন্ম ১৯৯৫), লুকা (জন্ম ১৯৯৮), থিও (জন্ম ২০০২) এবং এলিয়াজ (জন্ম ২০০৫৷ তার মধ্যে প্রথম তিনজন সবাই রেয়াল মাদ্রিদ অ্যাকাডেমিতে ভর্তি৷ খেলার দিক থেকে এনজো হলো মিডফিল্ডার, লুকা গোলকিপার এবং থিও স্ট্রাইকার৷ সবচেয়ে মজার কথা: মাদ্রিদের এস্তাদিও সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মানুষজন আজ যখন জিদান জিদান করে শোর তোলে, তখন সেটা ঐ এনজো জিদানের কল্যাণে৷ তবে তার ‘‘জিজু জুনিয়র'' নামটা যে কবে ঘুচবে, সেটা সে নিজেও জানে না৷
জিজু সিনিয়রের খ্যাতি আর জনপ্রিয়তার কিছুটা ফল জিজু জুনিয়র ইতিমধ্যেই পেয়েছে: তাকে একবার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো অ্যান্ড কো.-র সঙ্গে ট্রেনিং করতে দেওয়া হয়েছে৷ ওদিকে জিজু সিনিয়র রেয়াল মাদ্রিদের কো-ট্রেনার হওয়ার মুখে৷ সেক্ষেত্রে জিনেদিন জিদানও কি বেকহ্যামের মতো স্বপ্ন দেখবেন না যে, তাঁর ছেলেও রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলছে?
এসি/ডিজি (এপি)