ডেসটিনি’র কার্যক্রম
৭ এপ্রিল ২০১২তারা যাতে তাদের সম্পদ সরিয়ে ফেলতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে সাধারণ মানুষের কয়েক হাজার কোটি টাকা নিয়েছে৷
সারা দেশে ডেসটিনি-২০০০ এর গ্রাহক রয়েছে প্রায় এক কোটি৷ আর তাদের শাখা রয়েছে কয়েক হাজার৷ তারা মুলত উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়৷ সর্বশেষ তারা কো-অপারেটিভ হাউজিংয়ের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে৷ আর শেয়ার বিক্রির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে৷ বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে তাদের এই কাজকে অবৈধ এবং প্রতারণা মূলক বলে রিপোর্ট দেয়৷
বাংলাদেশে এরকম আরো একটি প্রতিষ্ঠান ‘যুবক' ২০০৬ সালে সরকার বন্ধ করে দেয়৷ তারাও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুবক বন্ধের আগেই তদন্ত চলাকালে তাদের সম্পদ সরকার জিম্মায় নিয়ে নেয়৷ এখন পুরো তদন্ত শেষ করে ওই সম্পদ থেকে সাধারণ মানুষের অর্থ ফেরত দেয়া হবে৷ একই ভাবে ডেসটিনি-২০০০-এর বিরুদ্ধেও একাধিক দল সরকারের নির্দেশে তদন্ত করছে৷ আর এই পর্যায়ে যেন তারা কোন সম্পদ স্থানান্তর করতে না পারে তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ যাতে ওই সম্পদ থেকে সাধারণ মানুষের অর্থ ফেরত দেয়া যায়৷
অর্থমন্ত্রী জানান, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম-এর নামে ডেসটিনিসহ যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে তা বন্ধে আইন প্রণয়ন করা হবে৷ তবে তিনি মনে করেন, সমবায়ের নামেও অনেক প্রতারক প্রতিষ্ঠান আছে৷ তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই নানা ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে৷
বাংলাদেশে ডেসটিনির মতো ছোট বড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে৷তারা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংএর নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে৷ তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন না করতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে৷ ডেসটিনি-২০০০ সাধারণ মানুষের টাকায় টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে৷ এসব প্রতিষ্ঠান এখন সরকারের নজরদারিতে আছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই