1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডোপ টেস্ট: আতঙ্ক, নাকি শুভ সংবাদ?

মাসুদ কামাল ঢাকা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

সিউল অলিম্পিকে বেন জনসনের সেই অতিমানবীয় দৌড়টির কথা মনে আছে? সেটা ১৯৮৮ সালের কথা৷ আমি টেলিভিশনের পর্দায় লাইভ দেখেছিলাম৷ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তখনও পর্যন্ত একরকম অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কার্ল লুইস৷

https://p.dw.com/p/40SRo
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/AP/P. Kovarik

কিন্তু সেদিন শুরু থেকেই কার্ল লুইসের চেয়ে সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফিনিশিং লাইনটা অতিক্রম করেছিলেন বেন জনসন৷

সেই সময়ে ১০০ মিটারের বিশ্বরেকর্ড ছিল ৯ দশমিক ৮৩ সেকেন্ড, আর অলিম্পিক রেকর্ড ছিল ৯ দশমিক ৯৫ সেকেন্ড৷ জনসন সেদিন সেই দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন মাত্র ৯.৭৯ সেকেন্ডে! রীতিমতো অবিশ্বাস্য৷

দশ সেকেন্ডেরও কম সময়ে যা দেখালেন জনসন, পরের কয়েকদিন সেটা নিয়েই দুনিয়া জুড়ে আলোচনা হচ্ছিল৷ কিন্তু তিন দিন যেতে না যেতেই, বিশাল সেই অর্জনটি চাপা পড়ে গেল ‘ডোপ টেস্ট’ শব্দ দুটির আড়ালে৷ বাতিল করা হলো তার পদক৷ মাঠে সারা দুনিয়ার মানুষের সামনে তিনি যা অর্জন করেছিলেন, বিচার বিশ্লেষণ আর আলোচনার টেবিলে তা বাতিল করা হলো৷ জনসনের ২৪ সেপ্টেম্বর পাওয়া পদক কেড়ে নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর পরিয়ে দেওয়া হলো কার্ল লুইসের গলায়৷ আর তিন দিনের হিরো জনসন যেন রাতারাতি পরিণত হলেন ভিলেনে!

ডোপ টেস্ট বিষয়টা সম্পর্কে সে সময়ই প্রথম আমি পরিচিত হই৷ এর আগেও কিছু কিছু জানতাম, কিন্তু এই টেস্ট যে এত পাওয়ারফুল, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের খেতাব পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে, সেটা তখনই প্রথম জানলাম৷ এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গেছে, প্রতিবারই বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ডোপ টেস্টের কথা শোনা যেতে থাকলো৷ কত কত সম্ভাবনাময় অ্যাথলেট হারিয়ে গেল এই টেস্টের ধাক্কায়, ম্যারাডোনার মতো নায়কও ছাড় পেলেন না৷ এই টেস্টের মাধ্যমে যেন বলা হলো, ‘‘আপনি যত বিখ্যাত আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই হন না কেন, আপনার চরিত্রটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷ আপনার জীবন যাপনে এমন কিছু থাকতে পারবে না, যা কিনা সমাজকে কলুষিত বা বিপদগ্রস্থ করতে পারে৷’’

সেই ডোপ টেস্ট এখন দারুণভাবে আলোচিত হচ্ছে আমাদের দেশে৷ যা আগে কেবল ক্রীড়াঙ্গনে ছিল, সেটা এখন প্রয়োগের কথা বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অপর সকল জায়গাতেই৷ দু'বছর আগে থেকেই এই আলোচনাটি শুরু হয়৷ সরকারের পক্ষ থেকেই প্রসঙ্গটির সূত্রপাত করা হয়৷ যতদূর মনে পড়ে, কখনো এই উদ্যোগকে তেমন কোনো আপত্তি বা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি৷ সবাই এটিকে ভালোভাবেই নিয়েছেন৷ এরও কারণ আছে৷ দেশে মাদকের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে ভয়াবহভাবে৷ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলছে, কিন্তু  একে যেন পাত্তাই দিচ্ছে না মাদক ব্যবসায়ীরা৷ ‘ক্রস ফায়ারে’ অনেকের মৃত্যু হচ্ছে৷ পুলিশ বলছে, ওরা ‘মাদক ব্যবসায়ী’ ছিল৷ আর সাধারণ মানুষ বলছে- এদের মধ্যে অনেকে সাধারণ মানুষও ছিল, লেনদেনে না মেলায় বা প্রতিহিংসার কারণে তাদেরকে জীবন দিতে হয়েছে, সেই সঙ্গে বাড়তি জুটেছে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ তকমা৷ সরকারের একটা ভালো উদ্যোগ কিভাবে মাঠে মারা যেতে পারে, তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ বোধকরি এই ‘জিরো টলারেন্স' অভিযান৷

প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি নীতিটা মূখ্য নয়? বরং তার চেয়েও বড় সেই নীতির যথাযথ প্রয়োগের বিষয়টা? গত কয়েক বছর ধরে বলাবলি হচ্ছিল, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে যে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকেই তো এর সঙ্গে জড়িত৷ মাদক ব্যবসায়ীদের কেবল প্রশ্রয় দেওয়াই নয়, পুলিশের অনেক সদস্য নিজেরাই মাদকসেবী! আতঙ্কের জায়গাটি ঠিক এখানেই৷ একসময় শোনা যেতো, মাদকের ব্যবহার কেবল হয়ে থাকে উচ্ছন্নে যাওয়া বড়লোকের সন্তানদের মধ্যে৷ মুচি, মেথর- এরা বাংলা বা চোলাই মদ খায়৷ রাত জেগে গাড়ি চালানোর অজুহাতে ট্রাক চালকরাও মদ পান করে৷ কিন্তু সে ধারণা এখন পাল্টে গেছে৷ অ্যালকোহল পেরিয়ে মাদকের সংজ্ঞার মধ্যে ঢুকে পড়েছে গাঁজা, চরস, হেরোইন, পেথিড্রিন, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অনেক কিছু৷ প্রতিদিনই নতুন নতুন নাম দেখা যায়৷ মাদক এখন আর নির্দিষ্ট কিছু পেশা বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে এর বিস্তার ঘটেছে৷ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, পুলিশ, আইনজীবী, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদেরও দেখা যাচ্ছে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়তে৷ ইয়াবাসহ কিছু কিছু মাদক এমন যে, শুরুর দিকে আশপাশের মানুষের পক্ষে পর্যন্ত কিছু বোঝা সম্ভব নয়৷ যখন তার আচরণগত পরিবর্তন দেখে কিছুটা উপলব্ধি করা যায়, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷

অনেকে মনে করেন, মাদকের সর্বগ্রাসী প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে আগে উৎসটাকে বন্ধ করতে হবে৷ আমাদের দেশের অভ্যন্তরে মাদকের কারখানা আছে, এখানেই উৎপাদিত হয়- এমন তথ্য পাওয়া যায়নি৷ মাদক যা আসে সীমান্ত দিয়ে বাইরের দেশ থেকেই আসে৷ স্থল সীমান্তের কথা ভাবলে আসে মিয়ানমার এবং ভারত থেকে৷ আর আকাশপথে এলে তো পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকেই আসতে পারে৷ সীমান্ত ‘টাইট’ দিয়ে দেখা গেছে, খুব একটা কাজ হয় না৷ তখন বলা হলো, মানুষের মধ্যে চাহিদা থাকলে কোনো না কোনো উপায়ে সেটা দেশের অভ্যন্তরে ঢুকবেই৷ এখন যে ডোপ টেস্টের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ওই ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই৷

ডোপটেস্টের প্রচলন নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ৷ এর কারণে মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ভয় তৈরি হবে৷ মন্দ পরিণতির কথা ভেবে অনেকে হুটহাট মাদক গ্রহণের বিষয়ে নিরুৎসাহিত হবে৷ যতদূর শুনেছি, অনেক তরুণ-তরুণী নাকি নিছক কৌতুহলের কারণে মাদক নেওয়া শুরু করে৷ কিন্তু একদিনের মাদক নেওয়াও তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য বড় হুমকি হিসাবে দেখা দিতে পারে- এমন বাস্তবতা তৈরি করা গেলে অনেকেই সেই কৌতুহলকে পরাজিত করতে পারবে৷ আবার যারা ভালো ভালো চাকরিতে আছেন, তারাও হয়তো ভয় পাবেন চাকরি হারানোর৷ আর মাদকের কারণে একবার চাকরি গেলে- ভবিষ্যতে আর একটা চাকরি পাওয়াও কঠিন হবে৷

এখানে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে৷ ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকার যখন ডোপ টেস্টের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে, তখন থেকেই এ নিয়ে বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়৷ সিলেটের হজরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটা নতুন ধরনের কাজ করে৷ প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য যারা যোগ্য হয়েছে, ভর্তির আগে তাদের সকলের তারা ডোপ টেস্ট করে৷ খুব জটিল কোনো পরীক্ষায় মধ্যে যায়নি তারা৷ কেবল সকলের প্রশ্রাব পরীক্ষা করেছে৷ পুরো পরীক্ষাটি করতে একেকজনের জন্য সময় লেগেছে ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট৷ এর মাধ্যমেই তারা পরীক্ষা করতে পেরেছে ইয়াবা, ঘুমের ওষুধ, পেথেড্রিন ও গাঁজা- এই মাদক ওই ছাত্র বা ছাত্রী গ্রহণ করে কিনা৷ পুরো বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছে৷ পরীক্ষায় কয়েকজনকে মাদকসেবী হিসাবে চিহ্নিত করা যায়নি, তা-ও নয়৷ তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ভর্তিও বাতিল করা হয়নি৷ বরং তাদেরকে কাউন্সেলিং করা হয়েছে, তার পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে, তাকে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে মাদক থেকে বের হয়ে আসার জন্য৷

বিধিমালা তৈরি না হলেও এরই মধ্যে ডোপ টেস্টের ব্যবহার কিন্তু মোটামুটি শুরু হয়ে গেছে৷ সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ চাকরির জন্য যারা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদেরকেই ডোপ টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে৷ এরকম কিছু তালিকাও পাঠানো হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে৷ কিন্তু অধিদপ্তরের সীমাবদ্ধতার কারণে সেভাবে টেস্ট করানো যাচ্ছে না৷ তবে এই সীমাবদ্ধতা খুব শীঘ্রই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা৷  

এরই মধ্যে ডোপ টেস্ট বিষয়ক বিধিমালা তৈরির পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সরকার৷ মিডিয়াগুলোতে এর খসড়াও প্রকাশিত হয়েছে৷ খসড়া পড়ে কিন্তু বিষয়টা অত সহজ মনে হচ্ছে না৷ কিছু কিছু বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে৷ তবে এগুলো সমস্যা নয়, কারণ, এটা তো খসড়া মাত্র৷ এ নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে৷ ঘাটতিগুলো কাটিয়ে ওঠা যাবে৷ আর তাছাড়া সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ডোপ টেস্টের প্রচলন তো পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে৷ এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে গেলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে পুলিশ তার ডোপ টেস্ট করে থাকে৷ এটা সেখানে একটা নিয়মিত বিষয়৷ ভারতে মদ খাওয়া কোনো নিষিদ্ধ বিষয় নয়৷ তারপরও সেই মদ্যপান কি মাত্রার মধ্যেই রয়েছে কিনা, মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছে কিনা- সেসব পরীক্ষার ব্যবস্থা সেখানে অনেক আগে থেকেই আছে৷ তাই আমাদের বিধিমালা তৈরিতে খুব একটা গবেষণা করতে হবে না৷ ওই সব দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যাবে৷

এসবই ভালো, কিন্তু মূল প্রশ্নটি হচ্ছে ডোপ টেস্টের প্রয়োগ নিয়ে৷ প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ- এর উপরই সম্ভবত নির্ভর করবে এর সফলতা বা বিফলতা৷ আইনটি কে প্রয়োগ করবে? পুলিশ বা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরই তো? এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সততা কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে? নাকি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এদের নাম জ্বলজ্বল করে? আবার এর পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব৷ সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমানে যে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের ব্যবস্থা আছে, তাকে অনেকেই তুলনা করেন ‘পুলসিরাত' এর সঙ্গে৷ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অসাধারণ মেধার প্রমাণ দেওয়ার পরও একজন তৃণমূল পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তার অসততার কারণে বাদ পড়ে যাওয়ার উদাহরণ এই দেশে কম নেই৷

ভ্যারিফিকেশনের জন্য যাওয়া পুলিশকে খুশি না করতে পারলে প্রার্থীর দূরসম্পর্কের কোনো আত্মীয় কবে বিরোধী দল করতেন- সেসব তথ্যও চলে আসে প্রকটভাবে৷ এ সঙ্গে এখন যদি ডোপ টেস্টের খাড়া বাড়তি যোগ হয়, তাহলে কেউ কেউ আতঙ্কিত হতেই পারেন৷ এরকম যে কখনো হবেই না, সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না৷ দুর্নীতি, রাজনীতি নানা কারণেই অপব্যবহার হতে পারে এই নতুন নিয়মের৷ 

মাসুদ কামাল, সাংবাদিক
মাসুদ কামাল, সাংবাদিকছবি: Hashibur Reza Kallol

লেখাটি শেষ করবো আবার সেই বেন জনসনের প্রসঙ্গ দিয়ে৷ আজ ৩৩ বছর পরও বেন জনসনকে নিয়ে আলোচনা হয়৷ বিতর্ক হয়৷ আসলেই কি তিনি মাদক সেবন করেছিলেন? জনসন তখন বারবার বলেছিলেন- তিনি একটা হারবাল শরবত খেয়েছিলেন, তার মধ্যে কী আছে তিনি জানতেন না৷ কিন্তু তার কথা কে শোনে৷ ওই ঘটনাকে অনেকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসাবে এখনো আখ্যায়িত করেন৷

রেকর্ড সময়ে গোল্ড মেডেল জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বেন জনসন কী বলেছিলেন? বলেছিলেন,‘‘টাইমিং কত, রেকর্ড হলো কিনা- এসব আমার চিন্তায় ছিল না ৷ আমার একমাত্র চিন্তা ছিল- আমি কার্ল লুইসকে হারাতে পারবো কিনা৷ সেটা আমি পেরেছি৷’’ গত তিন দশক ধরে অনেকেই বেন জনসনের এই উক্তিটিকে স্মরণ করেন৷ বলেন, এমন কথাই কি আসলে তার জন্য কাল হয়েছিল৷ বিশ্ব মোড়ল হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সেসময় বর্তমানের চেয়েও অনেক বেশি স্পষ্ট ছিল৷ তাদের কাছে জনসনের এমন বক্তব্য ঔদ্ধত্য হিসাবে বিবেচিত হতেই পারে৷ জনসনের সেই ঐতিহাসিক মেডেল কিন্তু মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে কার্ল লুইসের গলাতেই শোভা বর্ধন করেছিল৷

রাজনীতির এমন প্রভাব যদি অলিম্পিকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় থাকতে পারে, তাহলে সেটা আমাদের মতো দেশে একেবারেই থাকবে না তা হয়তো বলা যায় না৷ ফলে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে কার মেডেল যে কার গলায় গিয়ে শোভা বর্ধন করবে, সেটা হয়ত এই আইনটির বাস্তবায়ন পর্যায়ে বোঝা যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান