সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প’
৮ জুলাই ২০১২বাংলাদেশে মোট জনশক্তির মাত্র ৪৫ শতাংশ এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে৷ বাকিদের জ্বালানি শক্তির উৎস হচ্ছে কেরোসিন অথবা কাঠ৷ এরকম একটি পরিস্থিতিতে সৌরশক্তির মতো বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার৷ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিমাসে প্রায় বিশ হাজার বাড়িতে সোলার প্যানেল যোগ হচ্ছে৷ দুটো বাতি এবং একটি টেলিভিশন কিংবা দুটো বাতি এবং একটি ফ্যান -- খুব সামান্য হলেও বসত বাড়িতে যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় সেই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং এটাকে আমি মনে করি একটি ‘‘নিরব বিপ্লব''৷
বলাবাহুল্য, ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কে বর্তমানে বাইশ হাজার সোডিয়াম বাতি এবং সাতান্ন হাজার প্রতিপ্রভ বাতি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত একটি রাস্তায় সৌরশক্তি চালিত ‘এলইডি লাইট' ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ ড. নিশাত মনে করেন, এভাবে ঢাকা শহরের সড়কগুলোয় সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ব্যবহার শুরু হলেও কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা শহরে সড়কগুলোতে সাকুল্যে হয়ত ৬ থেকে সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়৷ এই বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট একটি, দুটি শহরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব৷ তাছাড় সৌরশক্তি ব্যবহারের ফলে ঢাকায় যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে সেটি কৃষি খাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে৷''
প্রসঙ্গত, লোডশেডিং এর কারণে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ঠিকভাবে জ্বলতে পারে না৷ রাতের বেলা অন্ধকারের সুযোগে ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়৷ ড. নিশাত মনে করেন, সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ব্যবহার করা হলে সেগুলো লোডশেডিংয়ের কবলে পড়বে না৷ ফলে ঢাকা শহরের অলিগলিতে সবসময় আলোর ব্যবস্থা করা যাবে৷ এতে করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও কমে যাবে৷ সামগ্রিকভাবে দেরিতে হলেও এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, মনে করেন ড. নিশাত৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ