1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প’

৮ জুলাই ২০১২

ঢাকার একটি সড়কে সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প’ এবং বিভিন্ন সংযোগ স্থলে সৌরশক্তি চালিত ‘ট্রাফিক ল্যাম্প’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত মনে করেন, দেরিতে হলেও এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ৷

https://p.dw.com/p/15Tj0
The road march of Bangladesh Nationalist Party (BNP) led by the opposition leader Begum Khaleda Zia towards Chittagong from Dhaka, Bangladesh on 08 January 2012. BNP demands to retain the caretaker government system. Foto: DW- Korrespondent Harun Ur Rashid Swapan, 08.01.2012
ছবি: DW

বাংলাদেশে মোট জনশক্তির মাত্র ৪৫ শতাংশ এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে৷ বাকিদের জ্বালানি শক্তির উৎস হচ্ছে কেরোসিন অথবা কাঠ৷ এরকম একটি পরিস্থিতিতে সৌরশক্তির মতো বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার৷ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতিমাসে প্রায় বিশ হাজার বাড়িতে সোলার প্যানেল যোগ হচ্ছে৷ দুটো বাতি এবং একটি টেলিভিশন কিংবা দুটো বাতি এবং একটি ফ্যান -- খুব সামান্য হলেও বসত বাড়িতে যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় সেই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং এটাকে আমি মনে করি একটি ‘‘নিরব বিপ্লব''৷

বলাবাহুল্য, ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কে বর্তমানে বাইশ হাজার সোডিয়াম বাতি এবং সাতান্ন হাজার প্রতিপ্রভ বাতি ব্যবহার করা হচ্ছে৷ পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত একটি রাস্তায় সৌরশক্তি চালিত ‘এলইডি লাইট' ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ ড. নিশাত মনে করেন, এভাবে ঢাকা শহরের সড়কগুলোয় সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ব্যবহার শুরু হলেও কিছুটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা শহরে সড়কগুলোতে সাকুল্যে হয়ত ৬ থেকে সাত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়৷ এই বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট একটি, দুটি শহরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব৷ তাছাড় সৌরশক্তি ব্যবহারের ফলে ঢাকায় যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে সেটি কৃষি খাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে৷''

প্রসঙ্গত, লোডশেডিং এর কারণে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ঠিকভাবে জ্বলতে পারে না৷ রাতের বেলা অন্ধকারের সুযোগে ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়৷ ড. নিশাত মনে করেন, সৌরশক্তি চালিত ‘স্ট্রিট ল্যাম্প' ব্যবহার করা হলে সেগুলো লোডশেডিংয়ের কবলে পড়বে না৷ ফলে ঢাকা শহরের অলিগলিতে সবসময় আলোর ব্যবস্থা করা যাবে৷ এতে করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও কমে যাবে৷ সামগ্রিকভাবে দেরিতে হলেও এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, মনে করেন ড. নিশাত৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য