পশুর হাট জমে উঠেছে
২৫ অক্টোবর ২০১২কেউ কেউ লোকসানের কথাও বললেন৷ তবে শেষ হাসি কে হাসবেন, ক্রেতা না বিক্রেতা, তা বলার সময় এখনো আসেনি৷
রাজধানী ঢাকায় অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাট ১৯টি৷ কিন্তু আদতে পুরো রাজধানীই যেন এখন হাটে পরিণত হয়েছে৷ পাড়ায়-মহল্লায় আর রাস্তার দু'পাশে যে যেখানে পারছেন পশুর হাট বাসিয়ে দিয়েছে৷ তবে বড় হাটেই পশু এসেছে অনেক৷ যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই৷ আর ক্রেতারাও হাজির কোরবানির পশু কিনতে৷ গরুর দাম ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু৷ কয়েক লাখ টাকা দামের গরুও বাহার বাড়াচ্ছে হাটের৷ ক্রেতারা এখন পর্যন্ত গরু কিনে সন্তুষ্ট৷ তাদের মতে দাম এখনো যৌক্তিক পর্যায়েই আছে৷
তবে গরুর বেপারিরা কিছুটা নাখোশ৷ তাঁদের কথা, এখন পর্যন্ত তাঁরা গরুর ভাল দাম পাচ্ছেন না৷ কেউ কেউ লোকসানে বিক্রিরও দাবি করেন৷ তবে গরুর তুলনায় খাশির দাম একটু চড়া৷ হাটে উট তেমন বিক্রি না হলেও তাদের আভিজাত্য আলাদা৷ তবে এসব উট আরব দেশ থেকে নয় ভারতের রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
পুরনো ঢাকায় আবার রয়েছে বিশেষ ধরনের গরুর চাহিদা৷ তারা আবার একটু বিলাসি কোরবানিতে অভ্যস্ত৷ তাই তাদের পছন্দ বাংলাদেশে খ্যাত মিরকাদিমের গরু৷ পুরনো ঢাকার হাটে এসব গরু পাওয়া গেলেও দাম আকাশ ছোঁয়া৷
এদিকে পশুর হাটে আছে জাল টাকার আতঙ্ক৷ তাই হাটে বসানো হয়েছে জাল টাকা শনাক্ত করার যন্ত্র, যেন কারো টাকা নিয়ে সন্দেহ হলে পরখ করে নিতে পারে৷ পশুর হাটের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ব়্যাব-পুলিশ৷ বসানো হয়েছে পর্যবেক্ষণ চৌকি৷ ব়্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান জানালেন, হাটের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে৷
কোরবানির এই পশুর হাট চলবে শনিবার ভোররাত পর্যন্ত৷ আর শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে ঈদ-উল-আজহা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক