ঢাকায় সোনিয়া গান্ধী, পেলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক
২৫ জুলাই ২০১১এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসা ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী অটিজম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং জনমত গড়তে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান৷ আর বিকেল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ইন্দিরা গান্ধীর জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পদক ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্মাননা' তুলে দেন সোনিয়া গান্ধীর হাতে৷
ঢাকার একটি হোটেল অটিস্টিক শিশুদের গান আর নাচের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হয় অটিজম বিষয়ক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷ অটিজম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্য সচেতনতা বাড়ান, মা-বাবাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং অটিস্টিক শিশুদের জন্য করনীয় নির্ধানের জন্যই এই সম্মেলন৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে যোগ দিয়ে বলেন, অটিস্টিক শিশুদের অধিকার রক্ষায় সব কিছু করবে তার সরকার৷ তারা যেন সমাজে কোনভাবেই আবহেলিত না হয়, তাদের শিক্ষা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে৷
ভারতে অটিজম আন্দোলনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তিনি এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে বলেন, বিশ্বে অটিজমের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে৷ তাই অটিস্টিক শিশুদের অধিকার, তাদের শিক্ষা এবং পরিচর্যার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে৷ তিনি বলেন, দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে অটিজম মোকাবেলা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
এই সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল৷ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং অটিজম বিশেষজ্ঞ ছাড়াও পাকিস্তানের পর্লামেন্টের স্পিকার ফাহমিদা মীর্জা, শ্রীলংকার ফার্ষ্ট লেডি শিয়োস্থি রাজাপাকসে, ইন্দোনেশিয়ার ফার্ষ্ট লেডি ইনিবোংবাং ও মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ইহাব হোসেন যোগ দেন৷
অটিজম সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের সম্মান জানান৷ সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর দুপুরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন৷ এর পর ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর জন্য বাংলাদেশের সর্বোচচ পদক ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্মাননা' গ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সেসময়ের ভারতের প্রধামন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অসামান্য অবদানের জন্য এই পদক দেয়া হল৷ ২শ' ভরি সোনার এই পদকের সঙ্গে দেয়া হয় তিন পাতার একটি মানপত্র৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক