তত্ত্বাবধায়ক আমলের ‘ট্রুথ কমিশন’ অবৈধ
১৬ মে ২০১১বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই থেকে সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশন বা ট্রুথ কমিশন কাজ শুরু করে৷ কমিশন দুর্নীতিবাজদের স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার এবং জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে অনুকম্পা বা মার্জনার সুযোগ দেয়৷ দুর্নীতির দায়ে যারা দু'বছরের কম মেয়াদে সাজা পান শর্ত সাপেক্ষে তাদের দায়মুক্তির জন্যই মূলত এই কমিশন গঠন করা হয়েছিল৷ কিন্তু ওই কছরেরই আগষ্ট-এ ট্রুথ কমিশনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়৷ ১৩ই নভেম্বর হাইকোর্ট ট্রুথ কমিশনকে অবৈধ ঘোষণা করেন৷ এর ফলে যেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অনুকম্পা পান তারা আবার দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত এবং মামলার আওতায় চলে আসেন৷ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অনুকম্পা পাওয়া দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পক্ষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মনজুর আহমেদসহ ৩ জন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন৷ আজ প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন৷ সাংবাদিকদের একথা জানান আপিলকারীদের আইনজীবী আজমালুল হক কিউসি৷
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে ট্রুথ কমিশনে অনুকম্পা পাওয়া প্রায় ৫শ' সরকারি কর্মকর্তা আবারো তদন্ত এবং বিচারের মুখোমুখি হবেন৷
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন দু'জন বিচারপতি আজ শপথ নিয়েছেন৷ তারা হলেন বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিচারপতি শামসুল হুদা৷ বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক তাদের শপথ পড়ান৷ প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের আজই ছিল শেষ কার্য দিবস৷ নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন৷ তার বুধবার শপথ নেয়ার কথা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক