আঘাত ঠেকাতে উদ্যোগ
৪ নভেম্বর ২০১৩ফুটবল, ক্রিকেট, রেসলিং-প্রতিযোগিতাপূর্ণ যে কোনো খেলায় অনেক সময়ই শোনা যায় উত্তেজিত হয়ে কোন দর্শকের মৃত্যু হয়েছে৷ কারণ উচ্চ রক্তচাপ এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ৷ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এ উত্তেজনাটা কিন্তু আরো বেশি৷ এখনকার তরুণ বেশিরভাগ অ্যাথলিটদের মস্তিষ্কে উত্তেজনার কারণে ক্ষত তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷
বুধবার মার্কিন স্বাস্থ্য উপদেষ্টারা বলেছেন, স্পোর্টস লিগ এবং সরকারি সংস্থাগুলোর উচিত এদিকে দৃষ্টি দেওয়া৷ অনেকেই আবার খেলার সময় দুর্ঘটনাবশত মস্তিষ্কে আঘাত পান, যেটা প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করছেন তারা৷
এ ধরনের আশঙ্কা কাটিয়ে উঠতে স্পোর্টস লিগগুলো তাদের নিয়মনীতিতে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে৷ ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন অ্যান্ড দ্য ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল-এর বিশেষজ্ঞরা তরুণ অ্যাথলিটদের এ ধরনের সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করে বলেছেন, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় সেটা জানতে আরো তথ্যের প্রয়োজন, যা তাঁদের হাতে নেই৷
১৭ জনের ঐ গবেষক দলের গবেষণায় পাওয়া গেছে, সাধারণত প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেই মস্তিষ্কে চাপ তৈরি হয় বেশি এবং মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ২০০১ সালে মস্তিষ্কে ক্ষতের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল দেড় লাখ খেলোয়াড়, ২০০৯ সালে যে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই লাখে৷ ৫ থেকে ২১ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাইস্কুল ও কলেজে যেসব কিশোর ফুটবল, আইস হকি, রেসলিং খেলে তাদের মস্তিষ্কই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
এপিবি/এসবি (রয়টার্স, এপি)