তরুণ দম্পতি, বেশি সন্তান
৩১ জানুয়ারি ২০১৪চান্দ্র নববর্ষের বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, সম্পদশালী এই দেশের নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে অনেক শিশু দরকার৷ তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বিয়ে এবং সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও জন্মহার এখানে খুবই নীচের দিকে৷
চার সন্তানের জনক লি জানান, সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রজনন হার একজন নারীর ক্ষেত্রে ১.১৯৷ অথচ ২০১২ সালে এই হার ছিল ১.২৯৷ এমনকি আদিবাসী চীনা সিঙ্গাপুরিয়ানদের ক্ষেত্রেও এই হার নেমে গেছে ১.০৬-এ৷
এই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে আহ্বান জানান তিনি৷ লি জানান, এ বছরের ভ্যালেন্টাইস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বিয়ের জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন প্রায় ৩০০ যুগল৷ তাই তিনি তাঁদের আহ্বান জানান বছরটিকে সফল করতে৷ বছর জুড়ে বিয়ের ঘণ্টা এবং নবজাতকের কান্না শুনতে চান প্রধানমন্ত্রী৷
সিঙ্গাপুরে জন্মহার কমার কারণে প্রতি বছর বিদেশ থেকে শ্রমিক বা কর্মী নিয়ে আসতে হয় তাদের৷ ফলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে সেখানকার জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশে পরিণত হয়েছে৷ তাই এভাবে অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেও প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ জানিয়েছেন৷
চীনে গত বছর বিতর্কিত ‘এক সন্তান নীতি' শিথিল করার পর, এবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্টও সেই পথেই হাঁটলেন৷ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনে ‘এক সন্তান নীতি' শিথিল করে একটি প্রস্তাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদন পায়, যা এ বছর থেকে কার্যকর হয়েছে৷ নতুন এই আইন অনুযায়ী, এ বছর থেকে চীনা দম্পতির কেউ একজন তাঁদের বাবা-মায়ের এক সন্তান হলে ওই দম্পতি দুটি সন্তান নিতে পারবেন৷
ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে ১৯৭০ সালের শেষ দিকে এক সন্তান নীতি ঘোষণা করেছিল চীন৷ এই নীতির ফলে দেশের বয়োবৃদ্ধ নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে, কমে গেছে কর্মক্ষম জনশক্তি৷
এপিবি/ডিজি (এএফপি,এপি)