1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তরেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা

৭ জানুয়ারি ২০১৫

তারেক রহমানের বক্তব্য বাংলাদেশে প্রকাশে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ অনেকে নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করলেও তারেকের বক্তব্যের নিন্দাও রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1EG60
Tarique Rahman BNP Bangladesh
ছবি: cc-by-Shamsul alam66

বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য, বিবৃতি সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকার আদালত৷ আইনের দৃষ্টিতে যতদিন তিনি ‘পলাতক' থাকবেন, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাঠকদের এই সংবাদের আলোকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?''

বুধবার জার্মান সময় সকাল নটায় প্রশ্নটি করার পর প্রথম দু'ঘণ্টায় উত্তর জমা পড়েছে ছয় শ'র বেশি৷ ইউনুস বিন আজিজ লিখেছেন, ‘‘আমি এ দেশের নাগরিক হিসেবে বলতে পারি৷ বর্তমান দেশে প্রয়োজন একটা নির্বাচন৷ আর তারেক রহমান একটি বড় রাজনৈতিক দলের সিনিয়র ভাইস চেয়্যারম্যান৷ তাই অবশ্যই তাঁর বক্তব্য জনসাধারণের মধ্যে উপস্থাপনা করা প্রয়োজন৷''

সাদেক হোসেন লিখেছেন, ‘‘তারেক রহমান খারাপ হতে পারে জানি, কিন্তু মুখের কথা বন্ধ করার জন্য আইন? এটা যুক্তিসঙ্গত না৷ মিডিয়া হয়ত ভয়ে এটা বন্ধ করে দেবে, কিন্তু সে' সময়ে তার বক্তব্য শোনার জন্য মানুষ আরো বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাঠক অনিন্দ্য শ্রাবণ অবশ্য আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে৷ একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের সর্বজন স্বীকৃত বিষয়াদি ও আমাদের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার ধৃষ্টতার জন্য এই আদেশ৷ সে চরম পর্যায়ের একটা বেয়াদব৷''

হিমাদ্রী শেখর কাসাব লিখেছেন, ‘‘এ আইনটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল৷ তাহলে গত নির্বাচনের আগে কিছু লোকের প্রাণ বাঁচতো৷ যার বক্তব্যে ইতিহাস বিকৃত হয়, দেশে সহিংসতা ছড়ায়, সে সকল ফেরারি আসামীদের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার না করাই দেশের জন্য, জাতির জন্য শুভ৷ আর আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতালের ঘোষণা প্রচার করাও নিষিদ্ধ করা উচিত৷''

ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক সজীব সোম মনে করেন, ‘‘আইন একজন মানুষের মনের ভাব প্রকাশে বাধা দিতে পারে কিনা জানিনা৷ তবে তারেকের মন্তব্য নিষেধ করা উচিত৷ কারণ একজন ভালো মানুষ যখন পাগলের মতো বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিব্রত করে, তখন তা প্রচার না করাই উচিত৷''

ইব্রাহিম রনি লিখেছেন, ‘‘বিশ্ব সেরা গণমাধ্যমগুলোতে যখন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের ভিডিও বার্তা, অডিও বার্তা, প্রেস বিজ্ঞপ্তি, উড়ো চিঠির কথাগুলো প্রচার করে – তখন তো এমন আদেশ-নিষেধ দেখিনি৷ যদি একজন ‘ফেরারি আসামী হিসেবে তারেকের' বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায়, তাহলে এ বিষয়গুলোও নিশ্চই আরো অধিক গুরুত্বপূর্ণ৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য