তিব্বতের স্বায়ত্ত্বশাসন দাবি করেছেন দলাই লামা
৪ ডিসেম্বর ২০০৮ইইউ পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের উপর জোর দিয়েছেন দলাই লামা৷ পাশাপাশি চীন থেকে তিব্বতকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি৷ স্পষ্টই বলেছেন, আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমাদের আন্দোলন বিচ্ছন্নতার জন্য নয়৷ প্রকৃত স্বায়ত্ত্বশাসনই আমাদের চাওয়া৷ চীনের মতো বড় একটা দেশের সঙ্গে থাকাটা আমাদের নিজেদের জন্যই ভালো৷ আমরা চাই সামাজিক সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা আর একতা বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য৷ বন্দুক নয় বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর বিশ্বস্ততার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন অনেক সহজ৷
তিব্বতীদের ব্যাপারে সংহতি প্রকাশ করে কয়েকজন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের অনশন করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি৷
ইইউ পার্লামেন্টে দালাই লামার ২০ মিনিটের ওই ভাষণে যেমন ছিলো গুরুগম্ভীর বিষয়, তেমনটি স্থান পেয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা৷ এমনকি রসিকতা করতেও ভোলেন নি ৭৩ বছর বয়সি এই আধ্যাত্মিক নেতা৷
আর তাই দলাই লামাকে সংলাপে চ্যাম্পিয়ন বলে উল্লেখ করেছেন ইইউ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট হান্স-গেয়ার্ট পোয়েটারিং৷ সেই সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের উপর চাপ প্রয়োগ করা এখন ইইউ-র দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন তিনি৷
দলাই লামা এমন এক সময়ে ইউরোপ সফর করছেন যখন চীন-ইইউ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে৷ গত সপ্তাহে ইইউ-এর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে দিয়েছে চীন৷ সোমবার ফ্রান্সের লিও-তে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিলো৷
এদিকে ইউরোপ সফরকালে পোল্যান্ডে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির সঙ্গে দালাইলামার বৈঠক করার কথা রয়েছে৷ এ ব্যাপারেও ফ্রান্সকে সতর্ক করে দিয়েছে চীন৷
বৃহস্পতিবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, ফ্রান্সের সঙ্গে চীনের কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে৷ দুটো বিষয়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই যদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো হয় কেবল তাহলেই সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করবে চীন৷