1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের এর্দোয়ান বন্ধু আসাদের সমালোচনা করলেন

১১ জুন ২০১১

তুরস্ক মধ্যপ্রাচ্য, এমনকি আরব রাজনীতিতেই ধীরে ধীরে তার জায়গা করে নিচ্ছে৷ ঢাক-ঢোল না পিটিয়ে হলেও, সিরিয়া সংঘাতে তুরস্ক শুধুমাত্র তার মনোভাব দিয়েই ঘটনাবলীকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে৷

https://p.dw.com/p/11Yja
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইপ এর্দোয়ানছবি: dapd

তুরস্ককে নতুন চোখে দেখার সময় এসেছে বহুদিন থেকেই এবং বহু কারণে৷ ইউরোপ আর আমেরিকার ঠিক মাঝের দেশ৷ কেমাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, অথচ সেখানে একটি গোঁড়া ইসলামি ধারাও আছে৷ গণতন্ত্র, অথচ সেখানে মিলিটারি অতি প্রভাবশালী৷ অর্থনীতি, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও পূর্ব-পশ্চিম, এমনকি আরব-খ্রিস্টান ঐতিহ্যের আশ্চর্য সংমিশ্রণ এই তুরস্ক৷

তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়িপ এর্দোয়ান'কে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বন্ধুই বলা চলে৷ অথচ সেই এর্দোয়ানই এবার সিরিয়ার স্পষ্ট সমালোচনা করলেন৷ এটা বৃহত্তর পটভূমিতে দেখাই উচিৎ৷ মনে রাখা দরকার, মিশর এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতিতে যে ভূমিকাটি পালন করতেন, সেই ভূমিকাতে কিন্তু এখন কেউ নেই৷ তুরস্ক সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে৷ গাদ্দাফি যদি দেশ পরিত্যাগ করতে সম্মত হন, তবে তাঁকে সাহায্য করার প্রস্তাবও এসেছে ঐ তুরস্ক থেকে৷

তুরস্কের সীমান্তের কাছে সিরীয় শহর জিশর আল শোগুর, যেখানে বিরোধীদের হাতে সিরিয়া নিরাপত্তা বাহিনীর ১২০ জন সদস্য নিহত হয়েছে বলে দামেস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে৷ সে শহর এখন সেনাবাহিনীর ট্যাংক দিয়ে ঘেরা৷ শহরের ৫০ হাজার বাসিন্দাদের অধিকাংশ পলাতক৷ তাদের মধ্যে বেশ কয়েক হাজার সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কে, হাতাই জেলার শরণার্থী শিবিরে৷ তুরস্ক এই উদ্বাস্তুদের পূর্ণ দেখভাল করছে, আরো শরণার্থী শিবির তৈরী করছে, কিন্তু শরণার্থীদের আবার আলাদা করে রেখেছে৷

Krise und Gewalt in Syrien
তুরস্কে প্রবেশের মুখে সিরীয় শরণার্থীর দল৷ছবি: AP

এর মূল কারণ সম্ভবত এই যে, আংকারা এবং দামেস্কের মধ্যে সব যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি৷ তুরস্ক যেমন একদিকে আসাদের বিরুদ্ধে এক হিসেবে সাক্ষ্যসাবুদ সংগ্রহ করছে - যেমন শিবিরে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে - তেমনই এই উদ্বাস্তুরা এখন তুরস্কের মাটিতে থাকার ফলে দামেস্কের উপর আংকারার প্রভাব বাড়ছে বৈ কমছে না৷ কাজেই সিরিয়া সমস্যার কোনো ভবিষ্যৎ সমাধানে আমরা হঠাৎ করেই তুরস্কের একটা বড় ভূমিকা দেখতে পারি৷

আনাতোলিয়া সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী এর্দোয়ান যা বলেছেন, তা হল এই: সিরীয় সৈন্যরা বিশেষ মানবিক আচরণ করছে না৷ তিনি এই দমন অভিযানকে ‘‘অগ্রহণযোগ্য'' বলেছেন, এবং বলেছেন এর ফলে অবশ্যই বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে৷

এবং এর্দোয়ানের এই কথা যেখানে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়েছে, সেই স্থানটি হল সম্ভবত দামেস্ক৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম