1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘তুষারমানব' তাহলে আছে?

১ মে ২০১৯

‘ইয়েতি' হলো নোংরা বা কুৎসিত তুষারমানব, যার দেখা পাওয়া যায় হিমালয়ে– এমন গল্প প্রচলিত আছে যুগ যুগ ধরে৷ কিন্তু শতভাগ প্রমাণ মেলেনি৷ ভারতীয় একদল সেনা পর্বতারোহী সম্প্রতি রহস্যজনক বিরাট পায়ের ছাপ দেখেছেন৷

https://p.dw.com/p/3Hl0M
Makalu Base Camp in Nepal Yeti-Fußabdrücke im Schnee
ছবি: Reuters/Indian Army

মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তাদের একদল পর্বতারোহী সম্প্রতি নেপালে হিমালয়ে ওঠার সময় বিরাট রহস্যময় পায়ের ছাপ দেখেছেন৷ তাঁরা মনে করেন, এই পায়ের ছাপ ‘ইয়েতি'র৷

নেপালের লোকগাঁথায় ইয়েতির উল্লেখ পাওয়া যায়৷ কথিত আছে, তুষার ঢাকা হিমালয়ের চূড়ায় তারা থাকে৷ তবে বিজ্ঞানে একে এখনো কল্পগাঁথাই মনে করা হয়৷

ইন্ডিয়ান আর্মির করা টুইটে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, পায়ের ছাপ ৩২ বাই ১৫ ইঞ্চি (৮১ বাই ৩৮ সেন্টিমিটার)৷ মাউন্ট মাকালুর কাছে একটি ক্যাম্পের অদূরেই গত ৯ এপ্রিল এই পায়ের ছাপ মিলেছে বলে দাবি করেছে তারা৷

‘‘এই প্রথমবার ভারতের সেনাবাহিনীর একটি পর্বতারোহী অভিযান পরিচালনার সময় পৌরাণিক প্রাণী ইয়েতির এই রহস্যময় পায়ের ছাপ মিলেছে,'' টুইটে বলা হয়৷

নেপাল ও চীনের সীমান্তের মাঝে মাকালু পর্বতটি অবস্থিত৷ এটি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের একটি৷ এই পর্বতশৃঙ্গের পাশে রয়েছে দুর্গম মাকালু-বারুন উপত্যকা৷ গবেষকরা অনেক আগেই এখানে ইয়েতির খোঁজ করেছেন৷

১৯২০-এর দশকে হিমালয়ের বুনো রোমশ এক প্রাণীর গল্প বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়৷ এতটাই হয় যে, স্যার এডমুন্ড হিলারি পর্যন্ত এই প্রাণীর খোঁজে নামেন৷ ২০০৮ সালে জাপানের একদল পর্বতারোহীও রয়টার্সকে বলেন, তাঁরা ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখেছেন৷ তাঁরা ঐ প্রাণীর কোনো ছবি তুলতে পারেননি, যদিও তাঁদের কাছে বড় লেন্স ক্যামেরা ছিল৷

কিন্তু বিজ্ঞানিরা আজ পর্যন্ত ইয়েতির অস্তিত্ব আছে, তেমন কোনো প্রমাণ পাননি৷ ২০১৭ সালে এক দল আন্তর্জাতিক গবেষক হিমালয়ের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ‘ইয়েতি' বিষয়ক নমুনা সংগ্রহ করেন এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, এগুলো আসলে ভালুকের ছিল৷ 

২০০৮ সালে দুই মার্কিনি বলেন, তাঁরা অর্ধেক মানুষ অর্ধেক পশুর অবশেষ পেয়েছেন৷ পরে দেখা যায় সেটি একটি রাবারের গোরিলা পোশাক ছিল৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য