তুষারে ঢাকা কাশ্মীরে এখন অনেক পর্যটক
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের স্বাভাবিক আনাগোনা অনেক দিন ধরেই বন্ধ৷ তবে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে ভাগ করার পর এই প্রথম সেখানে পর্যটক বেড়েছে৷ দেখুন ছবিঘরে...
বছরের শুরুতে আশার আলো
২০২১ সালের শুরুতে কাশ্মীরে পর্যটক বৃদ্ধি নজরে পড়ার মতো৷ ৩৭০ ধারা বিলোপ করে মোদী সরকার ভীষণ কড়াকড়ি আরোপ করায় ভয়াবহ বিপর্যয় নেমেছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে৷ করোনায় সংকট দ্বিগুণ হয়েছিল৷ তবে এই শীতে কাশ্মীরের স্বর্গীয় সৌন্দর্যের টানে ছুটে আসছেন অনেকেই৷
অপরূপ গুলমার্গ
অনেকের মতে এই জায়গাটি শীতকালীন খেলাধুলার জন্য এশিয়ার সেরা৷ পাহাড়ি এ এলাকায় রয়েছে ভালো কিছু আবাসিক হোটেল৷ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে সেখানে গিয়ে স্কি, স্লেজ বা ট্রেকিং করতে কার না মন চায়!
দুই ঋতুতেই অসাধারণ
শীতের তুষার-শুভ্র কাশ্মীরের মতো গ্রীষ্মে কাশ্মীরের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিও পর্যটকদের টানে৷ বিদেশি পর্যটকরা তাই জীবনে একবার হলেও দুই মৌসুমের সৌন্দর্যই এক যাত্রায় উপভোগ করতে চান৷
ভুতুড়ে গুলমার্গ
২০১৯ সালে ভারত সরকার ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই আধা-স্বায়ত্তশাসন-পর্ব শেষ হয়ে যায় কাশ্মীরে৷ সেনা মোতায়েনের পর যেন ভুতুড়ে নগরে পরিণত হয় কাশ্মীর৷
ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি
সরকার কঠোর অবরোধ আরোপ করায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কাশ্মীর৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলারের মতো৷ এছাড়া একই সময়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে৷
বৈপরিত্য
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার সংক্রমণ রোধ করতে কাশ্মীরেও কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করে ভারত সরকার৷ তবে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ করা হয়নি৷ করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে৷ তাই কাশ্মীরের শীতের সৌন্দর্য দেখার সুযোগ অনেকেই ছাড়ছেন না৷
‘খুব ভালো লক্ষণ’
গত ১৫ মাসে এই প্রথম বারের মতো আবার হোটেলগুলোতে পুরোদমে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে৷ গুলমার্গের হোটেলগুলোর সব ঘর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ভাড়া হয়ে গেছে আগেই৷ পর্যটন বিভাগের এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলমার্গের সব রুম আগেই ভাড়া হয়ে গেছে৷ এটা খুবই ভালো লক্ষণ৷ আশা করি এই ধারা চলতে থাকবে৷’’