তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দিল্লির নির্দেশিকা
৯ আগস্ট ২০২১করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছিল ভারতের রাজধানী শহরে। দিল্লিতে হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছিল না। পাওয়া যাচ্ছিল না অক্সিজেন। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। শ্মশান, কবরস্থানে মৃতদেহ সৎকার করা যাচ্ছিল না। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে পরিকাঠামোর দিকে নজর দিল দিল্লি। রোববার সরকার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার পুর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা জারি করেছে। চারটি রঙে ভাগ করা হয়েছে পরিকাঠামো।
হলুদ সতর্কতা
মূলত চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে সতর্কতার মাত্রা। দৈনিক সংক্রমণ, সংক্রমণের হার, নতুন সংক্রমণের সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং হাসপাতালে কত শয্যা পূর্ণ হয়েছে। টানা দুইদিন সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি হলে, হাসপাতালে ৫০০ বেড পূর্ণ হলে এবং সপ্তাহে দেড় হাজার সংক্রমণ ধরা পড়লে হলুদ সতর্কতা জারি হবে। এই সময়ে রাত দশটা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি থাকবে। সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট। পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ নিয়ে বাস এবং মেট্রো চলবে।
অ্যাম্বার সতর্কতা
সংক্রমণের হার টানা দুইদিন এক শতাংশের বেশি হলে এই সতর্কতা জারি হবে। খেয়াল রাখা হবে সপ্তাহের সংক্রমণ সাড়ে তিন হাজারে পৌঁছাচ্ছে কি না। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ভরতে হবে ৭০০। অ্যাম্বার সতর্কতা জারি হলে সাপ্তাহিক কার্ফিউ জারি হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। ৩৩ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো। পঞ্চাশ শতাংশ অনুমোদনপত্র সঙ্গে থাকা যাত্রী বাসে চড়তে পারবেন। রাত্রিকালীন কার্ফিউ জারি থাকবে।
গেরুয়া সতর্কতা
সংক্রমণের মাত্রা দুই শতাংশের বেশি হলে জারি হবে গেরুয়া সতর্কতা। সাপ্তাহিক সংক্রমণ ৯ হাজারের উপরে যেতে হবে। হাসপাতালের শয্যা পূর্ণ হতে হবে এক হাজার। সাপ্তাহিক কার্ফিউ জারি হবে এই সময়। বন্ধ করে দেওয়া হবে দোকানপাট। মেট্রো বন্ধ থাকবে। বাস পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে।
লাল সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতার রং লাল। টানা দুইদিন পাঁচ শতাংশের উপর সংক্রমণ থাকলেই এই সতর্কতা জারি হবে। সাপ্তাহিক সংক্রমণ হতে হবে ১৬ হাজার। লাল সতর্কতা জারি হলে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা হবে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির আতঙ্ক ফিরিয়ে আনতে চায় না কেজরিওয়াল সরকার। সে কারণেই এবার দ্রুত এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)