তেল অপসারণ চলছে, জাতিসংঘ সহায়তা দেবে
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ঢাকার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, তহবিল সংকটের কারণে তেল অপসারণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে৷ এ কাজে নিয়োজিত অনেক শ্রমিক প্রতিশ্রুত অর্থের পুরোটা বা কিছু অংশ না পাওয়ায় কাজ করা থেকে বিরত আছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ অবশ্য স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিকদের কাজের সময় অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়েছে৷
এদিকে প্রথম আলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ তেল নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে৷ ফলে শিগগিরই জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইউএনইপি এবং মানবিক সহায়তা সমন্বয়বিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসতে পারে৷ এ জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় প্রথম আলোকে জানিয়েছে৷ দলটি তেল ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতি হলো, তা মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করবে৷ প্রাথমিকভাবে তারা পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে একটি গবেষণা করে সরকারকে এ ব্যাপারে সুপারিশ দেবে৷
জাতিসংঘের আরেকটি সংস্থা ইউএনডিপি ইতিমধ্যে বন বিভাগকে তাদের বিদ্যমান কার্যক্রমে সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে তেল অপসারণের জন্য নৌকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া, তেল অপসারণকারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর জন্য গ্লাভস ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে৷
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘খালি হাতে তেল তোলার কারণে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হতে পারে৷ চুলে ও মুখে ফার্নেস অয়েল মিশ্রিত পানি লাগার ফলে চুলও পড়ে যেতে পারে৷''