তেল রপ্তানি বাড়ানোর আশ্বাস ক্যানাডার
২৫ মার্চ ২০২২ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ব্যাপকভাবে রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের উপর নির্ভরশীল। জার্মানির মতো অনেক দেশই রাশিয়ার পাঠানো গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পরে ইউরোপের দেশগুলিও তাই সংকটে পড়েছে। রাশিয়ার উপর তারা একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু গ্যাস এবং তেল আমদানি বন্ধ করতে পারেনি। রাশিয়াও সেই সুযোগ ব্যবহার করেছে। তারা জানিয়েছে, এবার থেকে গ্যাস এবং তেল কিনতে হলে রুবল দিয়ে কিনতে হবে। ইউরো দেওয়া যাবে না।
এই সংকটকালে কিছুটা স্বস্তির কথা শুনিয়েছে ক্যানাডা। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের ভান্ডার আছে ক্যানাডায়। বৃহস্পতিবার ক্যানাডার সরকার জানিয়েছে, তারা সংকটকালে তেলের রপ্তানি ৫ শতাংশ বাড়াতে পারে। এই তেল অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে। বস্তুত, পাঁচ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধির অর্থ, দিন তিন লাখ অতিরিক্ত ব্যারেল তেল। সংকটাকালে এই তেল সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করবে বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার আগেই ইউরোপের বহু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে শুরু করেছিল। ইউক্রেন আক্রমণের পরে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদকে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা করা ইউরোপের পক্ষে সম্ভব নয়। রাশিয়ার পাঠানো গ্যাসের উপর কমবেশি ইউরোপের অধিকাংশ দেশ নির্ভরশীল। নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এখনো রাশিয়া থেকে গ্যাস নিচ্ছে জার্মানির মতো দেশগুলি।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও পাল্টা চাপ তৈরি করেছেন। জানিয়েছেন, গ্যাস কিনতে হলে রুবলে কিনতে হবে। এরফলে রুবলের দাম উঠবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু পুটিনের এই প্রস্তাবে রাজি নয় জার্মানি-সহ ইউরোপের দেশগুলি। এখন দেখার প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার যুদ্ধ কোন পর্য়ায়ে পৌঁছায়।
এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি)