তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিট
৮ আগস্ট ২০২২সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন৷ ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেন এই চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে গত ৫ আগস্ট সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত করা হবে না এবং প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার বা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে এই রিটে৷
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন- বিইআরসির চেয়ারম্যানকে সেখানে বিবাদী করা হয়েছে৷
রিটে বলা হয়েছে, ‘যৌক্তির কারণ ছাড়াই অবৈধভাবে' জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে. তাতে ‘আইনের লঙ্ঘন' হয়েছে৷ আকস্মিক এই মূল্য বৃদ্ধি মানুষের দৈনন্দিন ও পারিবারিক জীবন-যাপনে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে৷
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘‘রিট আবেদনটি আজকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷ আগামী রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে৷’’
গত শুক্রবার রাতে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে৷
তাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২.৫% বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা করা হয়েছে৷ পেট্রোলের দাম ৫১.১৬% বেড়ে প্রতি লিটারের দাম হয়েছে ১৩০ টাকা৷ আর অকটেনের দাম ৫১.৬৮% বাড়িয়ে প্রতি লিটার করা হয়েছে ১৩৫ টাকা৷ শনিবার প্রথম প্রহর থেকেই এই দাম কার্যকর করা হয়েছে৷
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল আমদানিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে৷ এ অবস্থায় দেশের বাজারে দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না৷
তবে তেলের দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদদের অনেকেও প্রশ্ন তুলেছেন৷ এভাবে দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলেও কেউ কেউ হঁশিয়ার করেছেন৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)