1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রাণ কাজে ধীরগতি

১৫ নভেম্বর ২০১৩

ফিলিপাইন্সে সুপার স্টর্ম হাইয়ান আঘাত হানার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে৷ এখনো চলছে উদ্ধার কাজ, উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ৷ বিভিন্ন দেশ ত্রাণ পাঠালেও তা বিতরণে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দুর্গতদের মাঝে৷

https://p.dw.com/p/1AI9b
GettyImages 187930292 A girl sits as she wait with her relatives to have a chance to board an army cargo plane C 130 at Tacloban airport on November 14, 2013. United Nations humanitarian chief Valerie Amos said November 14 that aid must reach desperate Philippine typhoon survivors more quickly, amid reports of hunger and thirst in stricken neighborhoods. AFP PHOTO / Nicolas ASFOURI (Photo credit should read NICOLAS ASFOURI/AFP/Getty Images)
ছবি: Nicolas Asfouri/AFP/Getty Images

রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে আছে মৃতদেহ৷ টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, নেই বিদ্যুৎ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ত্রাণ বিতরণও ব্যাহত হচ্ছে৷ হাইয়ান আঘাত হানার এক সপ্তাহ পরেও টাকলোবানের অবস্থা এখন এটা৷

ত্রাণকাজে ধীরগতি এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে শরণার্থীদের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র নাইকা আলেকজান্ডার ফিলিপাইন্স সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মৃতদেহ উদ্ধারের চেয়ে শরণার্থীদের প্রতি বেশি নজর দেয়া হয়৷

তাই ফিলিপাইন্সে দুর্গতদের যারাই সাহায্য করতে চাচ্ছেন, চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন৷ হংকং-এর মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী জানালেন, অনেক চেষ্টা করেও টেলিফোনে সংযোগ স্থাপন করতে পারেননি তিনি৷ হংকং-এ ১ লাখ ৩৩ হাজার ফিলিপিনো অধিবাসীর বসবাস৷ তাই তারা উদগ্রীব স্বজনদের খবর জানতে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করতে৷

১৮ বছর বয়সী হাওয়ার্ড বার্তা সংস্থা এপিকে জানালেন, ঝড়ের দিন থেকেই তিনি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন খবর পাননি তাদের৷ কখনো কখনো তিনি হতাশ হলেও আবার চেষ্টা করেন এবং বারবার ফোন করতে থাকেন এই আশায় যদি অলৌকিক কিছু ঘটে৷

একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদেরও৷ এখন তারা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনায় রত৷ প্রতিদিনই তারা মিলিত হচ্ছেন বিশেষ প্রার্থনায়৷ মধ্যপ্রাচ্যেও চলছে প্রার্থনা৷ সেখানকার অধিবাসীরা স্বজনদের জন্য যেমন প্রার্থনা করছেন, সেইসাথে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন পৃথিবীর আর কোথাও না হয় সেই প্রার্থনাও করছেন৷

এদিকে, ফিলিপাইন্স সরকার নিহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করছে না এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৩,৬২১৷ দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের প্রধান এদুয়ার্দো দেল রোসারিও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েই তারা এই সংখ্যা প্রকাশ করছেন৷ এমনকি টাকলোবানের ৯৫ ভাগ মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে – এই তথ্য অস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো অভিযোগ করেছেন, কর্মকর্তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছেন৷

এদিকে, ত্রাণ কাজে সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডে হতাশ জনগণ৷ ত্রাণ কাজে ধীরগতির কারণে স্থানীয় গণমাধ্যম অ্যাকুইনোর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফিলিপাইন্সের ডেইলি ইনকুইরার পত্রিকার শিরোনাম – ‘হু ইজ ইনচার্জ হিয়ার'? বিশ্লেষকরাও বলছেন, এই ঝড়ে অ্যাকুইনোর কর্মকাণ্ড পরবর্তী নির্বাচনে বেশ প্রভাব ফেলবে৷

হাইয়ানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে ফিলিপাইন্সের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও৷ ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০১৩ সালে দেশটির গড় উৎপাদন ০.৩ শতাংশ থেকে ০.৮ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে৷ যার ফলে প্রবৃব্ধি কমবে ৬.৫ ভাগ থেকে ৭ ভাগ৷

এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য