সহজ হলো যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড
১৭ মে ২০১৯বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দেয়া এক ভাষণে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া উপস্থাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিবাসন বিষয়ে দেশটির বিদ্যমান আইন মেধাবী ও দক্ষ কর্মীদের জন্য বন্ধুবৎসল নয়৷ বিদ্যমান এ আইনকে ‘অকার্যকর’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা হলো, অভিবাসন বিষয়ে বিদ্যমান আইনের আধুনিকায়ন করা, যার মধ্য দিয়ে মেধাবী ও দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের আরো বেশি সুযোগ দেয়া সম্ভব হবে৷’’ নতুন এ অভিবাসন আইন বিশ্বের অন্য দেশগুলোর জন্য হিংসার কারণ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
মেধাবীদের জন্য বেশি সুযোগ
আইন অনুযায়ী, মেধাবী শিক্ষার্থী, প্রাফেশনাল, ভোকেশনাল ডিগ্রিধারী ও দক্ষ কর্মীদের গ্রিন কার্ড প্রদানের সংখ্যা আগের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বাড়ানো হবে৷ এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ও ইংরেজি ভাষায় তাঁর দক্ষতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে৷ বর্তমান আইন অনুযায়ী, শতকরা ১২ ভাগ গ্রিনকার্ড বরাদ্দ ছিল মেধাবী ও দক্ষ শ্রমিকদের জন্য৷ নতুন আইনে এ সংখ্যা শতকরা ৫৭ ভাগ হবে বলে জানানো হয়েছে৷ তবে ইতিমধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অনুমোদন পেয়েছেন, নতুন এ আইন তাঁদের বেলায় প্রযোজ্য হবে না৷
রাজনৈতিক চালাকি!
এদিকে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এ আইনের সমালোচনা করছেন ডেমোক্র্যাটরা৷ এ আইন নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সাথে আলোচনা না করার সমালোচনা করে সেনেটের ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য চুক শুমার বলেন, ‘‘নতুন এ আইনটির বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন খুব একটা আন্তরিক নয় বলেই মনে যাচ্ছে৷ আইনটিতে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা কয়েক মিলিয়ন অভিবাসীর বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করা হয়নিনি বলে সমালোচনা করেন তিনি৷
অভিবাসন আইনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন জাস্টিস সেন্টারের আইন বিষয়ক পরিচালক লিসা কুপ বলেন, যে আইন জোরপূর্বক পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চায়, কিংবা বৈধ কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদের বিষয়টি বিবেচনায় নেয় না, সেটিকে সমস্যা সমাধানকারী আইন নয়, বরং রাজনৈতিক ভাওতাবাজিই বলা যেতে পারে৷
আরআর/এসিবি (এপি, রয়টার্স)