1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজদক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ মুয়ান বিমানবন্দরে পৌঁছেছে

২ জানুয়ারি ২০২৫

থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল জেজু এয়ারওয়েজের বিমান। আশঙ্কা করা হচ্ছে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে বিমানের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়।

https://p.dw.com/p/4okB1
বিমানবন্দরে নামার সময় দুর্ঘটনা ঘটে
দক্ষিণ কোরিয়ায় ভেঙে পড়েছে বিমানছবি: Ahn Young-joon/AP Photo/picture alliance

রোববার মুয়ান বিমান বন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। জেজু এয়ারওয়েজের একটি বিমান থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছিল। মুয়ান বিমান বন্দরের কাছে বিমানটি আচমকাই অকেজো হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়।

পুলিশের বক্তব্য, ২৯ ডিসেম্বর যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তারই প্রেক্ষিতে তারা ২ জানুয়ারি তিনটি জায়গায় তদন্তে গেছেন। তার মধ্যে অন্যতম মুয়ান বিমানবন্দর। সকাল ৯টা থেকে ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মুয়ান বিমানবন্দর ছাড়া সিওলে জেজু এয়ারের অফিস এবং স্থানীয় এভিয়েশন অফিসে পৌঁছেছে পুলিশ। সেখানেও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিনই দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি চয় সাং-মক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জেজু এয়ার ৭সি২২১৬ এর ককপিট থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে ভয়েস রেকর্ডিং উদ্ধার করা যাবে। সেখান থেকেই কী করে এই ঘটনা ঘটলো, তা জানা যাবে।

রোববার মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্লেনের চাকা খোলেনি। ফলে পেটের উপর ল্যান্ড করার চেষ্টা করে বিমানটি। মাটিতে নামার পরেই আগুন জ্বলে যায় গোটা প্লেনটিতে।

প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, বোয়িংয়ের এই মডেলের বিমান এর আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ফলে এই দুর্ঘটনার পিছনে কোনো গাফিলতি বা অজানা তথ্য লুকিয়ে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিমানটি এমনভাবেই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে যে ফ্লাইট রেকর্ডারটিও ভেঙে গেছে। সেটি অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই সেটি থেকে রেকর্ডিং উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বস্তুত, এই গোটা তদন্তেই অ্যামেরিকা সরাসরি সাহায্য করছে দক্ষিণ কোরিয়াকে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)