জার্মান বেসরকারি সংস্থা
৩১ অক্টোবর ২০১২বাংলাদেশের ৪৫ হাজার পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে একটি সংস্থা৷ কাজ চলছে অনেকদিন ধরেই৷ এক রকম নীরবেই চলছে কাজ৷ তাই প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে গিয়ে ‘নেৎস' যে তার সেবার জাল ক্রমশ ছড়িয়ে যাচ্ছে, সে খবর বাংলাদেশের খুব বেশি মানুষ পায়না৷ দরিদ্র নারী-পুরুষের অধিকার রক্ষার প্রশ্নেও যে ‘নেৎস' সবসময় বিপদের বন্ধুর মতো পাশে থাকে সে কথাই বা জানেন ক‘জন!
অধিকার আদায় বা প্রতিষ্ঠার কাজে আইনগত সহায়তা দিতে ‘নেৎস' আবার পাশে পায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রকে৷ তাই আশা করা যায়, আজ আইন ও সালিশ কেন্দ্র যেমন, একদিন ‘নেৎস'ও তেমনি সুপরিচিত হয়ে উঠবে সারা দেশে৷ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নাগরিক অধিকার – মোটা দাগে এই হলো নেৎস-এর কর্মপরিধি৷ হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানালেন, এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার পরিবারের অনেকেরই আর্থিক কষ্ট দূর হয়েছে তাঁদের দেয়া অনুদানে৷ কেউ হয়তো গরু কিনেছেন, কেউ কিনেছেন হালের বলদ, কেউ পেলেছেন হাঁস-মুরগী, কেউবা টাকা খাটিয়েছেন কোনো ব্যবসায়৷ নেৎস পাশে থাকায় দারিদ্র্যের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়েছে তাঁদের৷
অনুদান অনেকেই দেয়৷ ‘নেৎস' ঠিক সেরকম নয়৷ অনুদান দেয়ার আগে আলোচনা করে জেনে নেয়া হয় প্রার্থীর অবস্থা, সামর্থ, কর্মদক্ষতা৷ প্রয়োজনে প্রশিক্ষণও দেয়া হয় তাঁদের৷ অনুদানের টাকা বা সেই টাকায় কেনা কোনো পণ্য হাতে তুলে দেয়া হয় তারপর৷ জীবনযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত একজন সৈনিক তারপর বিজয়ীর হাসি তো হাসবেনই!
নেৎস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জানালেন, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টভঙ্গিটাও বিজ্ঞানসম্মত এবং আধুনিক৷ তাই প্রচলিত ধারার শিক্ষাব্যবস্থাকে পাশে নিয়ে চললেও তাদের স্কুলগুলোয় ঝরে পড়ার হার অনেক কম৷ শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্থানীয় তরুণদের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছে দরিদ্র পরিবারের জন্য সুন্দর আগামী গড়ার দায়িত্ব৷