দাবানলের ছায়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে
১৪ জানুয়ারি ২০২০বছরের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ টেনিস টুর্নামেন্ট৷ কিন্তু তার আগে প্রয়োজনীয় প্র্যাকটিসের সুযোগ পেলেন না নাদালরা৷ দাবানলের দূষিত বিষাক্ত ধোঁয়া এখন অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে৷ মঙ্গলবার সকালে বাতাসে দূষণ বেশি ছিল বলে প্র্যাকটিস বন্ধ করে দিতে হয়৷ সংগঠকদের আশা, পরিস্থিতি পরের দিকে ভালো হবে৷ তখন মূল পর্বে ওঠার জন্য ম্যাচ শুরু করা যাবে৷ আর প্রতিযোগিতা শুরু করতেও কোনও অসুবিধা হবে না৷ নাদাল, ফেডেরার, সেরেনা উইলিয়ামসরা বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা জেতার জন্য প্রাণপাত করতে পারবেন৷
সংগঠকরা যাই বলুন না কেন, মঙ্গলবারের ঘটনা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে৷ আগামী ২০ জানুয়ারি মূল প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা৷
মেলবোর্নের বাতাসে এ দিন দূষণের পরিমাপ ছিল ছিল ২১৩৷ বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ ২০০ ছাড়ালেই তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয়৷ দিল্লি বা ভারতের অনেক শহরের লোক হামেশাই এর থেকে বেশি বায়ুদূষণের মধ্যে থাকেন৷ মঙ্গলবার সকালেও দিল্লি ও তার আশপাশের অনেক জায়গায় বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল দুশোর অনেক ওপরে৷ কিন্তু দিল্লি দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করলে ভুল হবে৷ বায়ুদূষণ বেড়ে গেলে, তা অস্বাস্থ্যকর জায়গায় পৌঁছে গেলে তাকে মারাত্মক বলে মনে করা হয় অধিকাংশ দেশে৷
অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা এখন ভয়াবহ৷ দাবানলসেখানে বিপর্যয় ঘটিয়ে দিয়েছে৷ ৫০ কোটি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে৷ কয়েক মাস ধরে অপ্রত্যাশিত গরম ও দাবানলের ফলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ ২৮ জন মারা গিয়েছেন৷ প্রচুর বাড়ি পুড়েছে৷ আর জঙ্গাল ও বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে ক্ষতিটা অকল্পনীয় হয়েছে৷ এখন দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও মারাত্মক বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া৷
সংগঠকরা বলছেন, চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ তাঁরা বাড়তি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, ফলে খেলোয়াড়দের কোনও অসুবিধা হবে না৷ প্রতিযোগিতা শুরুর ক্ষেত্রে দেরি হবে না৷ হয়ত তাঁদের কথা সত্যি হবে৷ তবে একটা টেনিস প্রতিযোগিতা না হলেও খুব ক্ষতি হবে না, তার থেকে অনেক বড় বিষয় হল, অস্ট্রেলিয়ার লোকেদের কী হবে, পরিবেশের কী হবে, জীববৈচিত্র্যের কী হবে? এই উষ্ণায়ণের সময়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে?
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)