দামের পাগলা ঘোড়া
অনেক সময় উৎপাদন ও সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও বেড়েই চলছে দাম৷ কেন? বাজারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? এই প্রশ্নটি প্রায়ই শোনা যায়, উত্তরও শুনতে পাই নানারকমের৷ গত কয়েক বছরে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে এমন কয়েকটি পণ্য নিয়ে এই ছবিঘর৷
ডিমের ডজন আর মুরগি সমানে সমান
চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশের বাজারে হঠাৎ করেই ডিমের দাম বাড়তে শুরু করে৷ দাম বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে মুরগি আর ডিমের দাম সমান্তরাল হয়ে যায়৷ ডেইলি স্টারের এক সংবাদ বলছে, এর আগে কখনো ১ কেজি ব্রয়লার মুরগি ও ১ ডজন ডিমের দাম সমান হওয়ার নজির দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। আর একই দামে বিক্রি হয় প্রতি ডজন ডিমও।
একটা কাঁচা মরিচের দাম এক টাকা!
চলতি বছরের জুলাই মাসে বাজারে বাড়তে থাকে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ৷ কোনো কোনো বাজারে খুচরা পর্যায়ে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ৬০০ টাকা কেজি দরে৷ বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এক গৃহিনীর গল্প৷ গৃহিনী ঢাকার নূরের চালা বাজার থেকে ৩০ টাকায় ৫০ গ্রাম মরিচ কেনেন, সংখ্যায় সেখানে ছিল ৩৫টি মরিচ৷ দৈনিক সমকালের খবর, নেত্রকোনা শহরের একটি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে ৷
ভোজ্য তেলের তেলেসমাতি
২০২২ সালে বাজারে আলোচিত ছিল সয়াবিন তেল৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ওই বছর এপ্রিল থেকে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে তেলেসমাতি চলতে থাকে৷ এক পর্যায়ে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার তেলের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠে৷ পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কোনো কোনো বাজারে নাকি পাওয়াও যাচ্ছিল না তেল৷ অবশ্য রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর বিশ্বের অনেক দেশেই ভোজ্য তেলের তেলেসমাতি দেখে দিয়েছিল৷
পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি: শেখ হাসিনা
২০১৯ সালের শেষে আকাশচুম্বী হতে থাকে পেয়াঁজের দাম৷ এক পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হয় প্রায় ২৫০ টাকা কেজিতে৷ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ৷ ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের বরাতে ডেইলি স্টার জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ১৭ নভেম্বর পেঁয়াজ ছাড়া সব রান্না হয়েছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি, আজ দুপুরে আমার বাসায় পেঁয়াজ ছাড়াই সকল রান্না হয়েছে’।’’
বেগুনে আগুন, বিকল্প দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সময়ে বেহুন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল ২০২২ সালে৷ সেবছর প্রতিকেজি বেগুন দাম উঠেছিল একশ টাকার উপরে৷ পরিস্থিতি এমন হয়েছিল সেসময় সংসদে এ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বললেন, “বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যে সহজলভ্য সব্জি আছে, সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তাই খাই। মিষ্টি কুমড়া দিয়েও বেগুনি বানানো যায়। সেভাবে আমরা করি, সেভাবে করা যায়।”