লক্ষ্য অর্জন সম্ভব
২ জুলাই ২০১৩তাই এ সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বান কি-মুন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব এ মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘেরই এক প্রতিবেদনে৷ সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদন সংস্থাটির মিলেনিয়াম উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়৷ ১৩ বছর আগে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছিল জাতিসংঘ৷ আর্থিক সহায়তা আর না বাড়িয়ে শিক্ষা বিস্তার, লিঙ্গবৈষম্য দূর করা, শিশুস্বাস্থ্য ও নারীদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনাকে অসম্ভব মনে হয়েছিল অনেকের কাছে৷ ২০১৫ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনিক আয় ১ দশমিক ২৫ ডলারেরও কম এমন মানুষদের অবস্থার উন্নতি অনেকটাই হয়ে গেছে ২০১০ সালের মধ্যে৷ বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, আগামী দু'বছরের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন সহজেই সম্ভব আর সে কারণেই বান কি-মুনের মন্তব্যে ঝরেছে তৃপ্তি৷
অতৃপ্তির দিকটাও উঠে এসেছে তাঁর মন্তব্যে৷ সন্তান জন্ম দেয়ার সময় এখনো অনেক মায়ের মৃত্যু হয়, এখনো পৃথিবীর অন্তত ২৫০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহারের ব্যবস্থা নেই, প্রতি আটজনে একজন মানুষ ভুগছেন পুষ্টিহীনতায়, কমপক্ষে ১০ কোটি শিশুর ওজন আশঙ্কাজনকভাবে কম, পরিবেশ বিপর্যয় রোধে অনেক কাজই করার বাকি – এসবও উঠে এসেছে বান কি-মুনের কথায়৷
এত কিছুর পরও জাতিসংঘের তৃপ্তি এক জায়গাতেই – ১৩ বছর আগে প্রায় অসম্ভব মনে হলেও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাঁদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে গত কয়েক বছরের অর্জন৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)