1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দালাই লামা-ওবামা বৈঠক নিয়ে আশাবাদী তিব্বতিরা

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০

চীন সরকারের সঙ্গে দালাই লামার প্রতিনিধিদের নবম দফা বৈঠক হয় জানুয়ারির শেষে৷ যথারীতি ওই বৈঠকেও চীন উচ্চকণ্ঠেই জানিয়ে দিয়েছে তিব্বতকে পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসন দেবে না তারা৷ এই পরিস্থিতিতে তিব্বতিরা কী ভাবছেন ?

https://p.dw.com/p/M3Z4
৫০ বছর আগে তিব্বত থেকে পলায়নের সময় দালাই লামাছবি: AP

সম্পর্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দালাই লামার প্রস্তাবিত বৈঠক নিয়ে কঠোর ভাষায় উভয়পক্ষকেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছে চীন৷ বৃহস্পতিবার এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ এদিকে, বেইজিংয়ে সর্বশেষ ওই বৈঠকের আগেও অনেক তিব্বতিই আবারও আশায় বুক বেঁধেছিল এবং এ আলোচনাকে একটি ইতিবাচক প্রথম পদক্ষেপ বলে ভাবছিল৷ কিন্তু, তিব্বতের পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনের প্রশ্নটি চীন জোরগলায় প্রত্যাখ্যান করায় শেষমেষ তা বিফল বলেই মনে হচ্ছে৷

আমেরিকায় দালাই লামার প্রতিনিধি লবসাং নায়ানদাক বলছিলেন, ‘‘আমি বলবো চীন সরকার এখনও আগের অবস্থানেই আছে৷ তারা কখনোই তিব্বতিদের অনুভূতির পক্ষে অবস্থান পরিবর্তন করেনি এবং আসলে এ কারণেই এই সংলাপ প্রক্রিয়া ইতিবাচকভাবে সামনে এগোতে পারছে না৷ তিব্বতি জনসাধারণের দাবি বিবেচনা না করার চীনের এমন অনড় অবস্থানে মানুষ আসলেই হতাশ হয়ে পড়ছে৷''

সে যাই হোক, তিব্বত বিশেষজ্ঞ এবং দীর্ঘদিন ধরে এই সংলাপ প্রক্রিয়া পর্যবক্ষেণকারী থিয়েরি দোদি মনে করেন, বেশিরভাগ তিব্বতিই এখনও দালাই লামার নীতিকেই সমর্থন করেন৷

দোদি বলছিলেন, ‘‘বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ তিব্বতিরা মনে করেন তিনি যেভাবেই হোক সংকট সমাধান করতে পারবেন৷ মানুষজন এটাও বোঝে যে, রাজনীতিতে আকস্মিকভাবে কোনো বড়সড় পরিবর্তন খুবই বিরল ঘটনা৷ এমন লোকজনও আছে যারা তাঁর রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন এই সংলাপের ফলাফল দেখে৷ কিন্তু আমি মনে করি মানুষ যতোটা ভাবছে, সংলাপের ফলাফল ততোটা শূন্য নয়৷''

জার্মানির বন শহরে বসবাসকারী এক তিব্বতি, লবসাং তেনপা একমত যে, বেশিরভাগ তিব্বতিই স্বায়ত্বশাসনের পথে দালাই লামার ‘মধ্যপন্থা'কে সমর্থন করেন৷ নির্বাসিত তিব্বতিরাই এরকমই ভাবছেন৷ কিন্তু তেনপা আরও বলেন, ‘‘আমি কিছু তরুণ তিব্বতিদের চিনি যারা আরও বিপ্লবী পন্থায় যেতে চায়৷ কিন্তু আমি মনে করি না তারা সহিংসতার দিকে যাবে, কেননা সেজন্য বিশেষ লোকবল প্রয়োজন, যা এখানে নেই৷ তিব্বিতরা সহিংসতার দিকে যাবে না কারণ বেশিরভাগই ধর্ম দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত৷''

সাধারণ তিব্বতিদের প্রবণতাট কম চেয়ে বেশি পাওয়া৷ যা চীন সরকারের পুরো বিপরীত৷ তবে, ওবামার সঙ্গে দালাই লামার বৈঠক নিয়ে চীন অনেক বেশি উচ্চবাচ্য করলেও তিব্বত বিশেষজ্ঞ দোদি মনে করেন না যে, ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে চীনের প্রতিক্রিয়া খুব বেশি মারাত্মক হবে৷

দালাই লামার প্রতিনিধি লবসাং নায়ানদাকও বললেন, ‘‘আমি খুবই আশাবাদী৷ চীন গত ৫০ বছরে অনেক পাল্টেছে এবং এখনও পাল্টাচ্ছে৷ এখন বিপুল সংখ্যক চীনারা তিব্বতে স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছে৷ তাই আমাদের আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ এতে সময় লাগতে পারে, কিন্তু শেষপর্যন্ত সত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে৷''

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক