ধর্ষণকাণ্ডের বিচার রুদ্ধদ্বারে
২২ জানুয়ারি ২০১৩দিল্লি গণধর্ষণ মামলা ফাস্ট-ট্র্যাক-কোর্টে স্থানান্তরিত হলেও সেখানে বিচারপর্ব চলবে রুদ্ধদ্বারে, আগামী ২৪শে জানুয়ারি৷ বিশেষ আদালতের বিচারক আগের ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ বহাল রেখে জানান, মামলার সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন কেউ আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারবেন না৷ মিডিয়ারও প্রবেশ নিষেধ৷ শুধু তাই নয়, শুনানির কোনো রিপোর্ট বা বিবরণ প্রকাশ করা যাবে না৷ যদিও মিডিয়ার ওপর এই নিষেধাজ্ঞায় অনেকের আপত্তি আছে৷
এদিকে, জনরোষ এবং বিরুদ্ধ প্রচারের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির একজন মামলার বিচার দিল্লির বাইরে নিয়ে যাবার আর্জি জানায় সুপ্রিম কোর্টে৷ কারণ তার মতে, সাধারণ মানুষের আবেগ, রোষ ও মানসিকতা বিচারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ বাধা সৃষ্টি করতে পারে ন্যায়বিচারে৷ তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবির আগামীকাল পর্যন্ত তাঁর রায়দান স্থগিত রাখেন৷
অনেকে বলছেন, মামলা দক্ষিণ ভারতে স্থানান্তরিত করা হতে পারে৷ প্রধান বিচারপতি অবশ্য মনে করেন, ধর্ষণের পর গোটা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ স্বাভাবিক এবং ন্যায়সঙ্গত৷
দেশে ধর্ষণ বিরোধী যেসব আইন আছে, তার পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য গঠিত বিচারপতি জে.এস ভার্মা কমিটি বুধবার তাঁর রিপোর্ট দেবেন৷ রিপোর্টে আইন আরও কঠোর করার সংস্থানসহ বিভিন্ন সুপারিশ থাকবে৷ যেমন ৩০ বছর জেল, একাধিক ধর্ষণের অপরাধে কেমিক্যাল ক্যাস্ট্রেশন, ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে তিন মাসের মধ্যে বিচার পর্ব শেষ করা ইত্যাদি৷
ধর্ষণ রোধে মানসিক সংশোধন বেশি জরুরি নাকি আইন কঠোর করা? এ বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বললেন, মানসিক সংশোধন এক দীর্ঘমেয়াদি বিষয়৷ কড়া আইন জরুরি অবশ্যই৷ কিন্তু যেটা আরো বেশি জরুরি তা হলো, বিচার পর্ব দীর্ঘায়িত না করে দোষী সাব্যস্ত করা অর্থাৎ, কনভিকশন রেট বাড়ানো৷ কারণ দেশে কনভিকশন রেট বেশ কম৷ তবে ধর্ষণ নিয়ে যে গণরোষ জাগ্রত হয়েছে, তাতে সরকার একটু নড়েচড়ে বসেছে, এটাই ইতিবাচক৷