দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত জাল বিছানো হয়েছে
৮ সেপ্টেম্বর ২০১১দিল্লির হাইকোর্ট চত্বরে গতকালের বোমা বিস্ফোরণের বিভিন্ন সূত্র নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এবং দিল্লি পুলিশ যৌথভাবে৷ ঐ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে হরকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি – সংক্ষেপে হুজি যে ই-মেল পাঠিয়েছিল, সেটি পাঠানো হয়েছিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কিস্টওয়ার থেকে৷ পুলিশ সেই সাইবার কাফের মালিককে আটক করেছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে৷
ঐ ই-মেলে হুজি হুমকি দেয় যে, সংসদ হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরুর ফাঁসি রদ করা না হলে ভারতের সুপ্রীম কোর্ট ও বিভিন্ন হাইকোর্টে অনুরূপ হামলা চালানো হবে৷ আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে হুজির সঙ্গে অল-কায়েদার যোগ আছে৷ ইলিয়াস কাশ্মীরী এই গোষ্ঠীর প্রধান৷ সম্প্রতি সে মারা গেছে পাকিস্তানে৷ এদের লক্ষ্যস্থল ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশ৷
পাটনার এক ব্যক্তিকে পুলিশ চিহ্নিত করেছে৷ তাঁর খোঁজ চলছে৷ পুলিশের সন্দেহ, তাঁরই গাড়িতে সন্ত্রাসীদের হাইকোর্ট চত্বরে আনা হয়েছিল৷ গাড়িটি পাওয়া গেছে দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে৷ পুলিশ যে দুজন সম্ভাব্য ব্যক্তির চেহারার ছবি প্রকাশ করেছে, ঐ ব্যক্তির সঙ্গে তার মিল আছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে৷
এদিকে বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম৷ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন৷ ২৬/১১-এর মুম্বই হামলার পর বিভিন্ন ব্যবস্থা নেবার পর কোথায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে তা নিয়ে মত বিনিময় হয়৷ বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, তদন্ত কাজে সাহায্য করতে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারলে তদন্তকারী সংস্থা ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবার কথা ঘোষণা করেছে৷ তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ১২ আহত ৭০৷ দু কেজির মত প্লাস্টিক বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়৷
দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে এনআইএ ও দিল্লি পুলিশ৷ স্থির হয়, শীঘ্রই বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা, মেটাল ডিটেক্টর৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন