1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে কৃষকদের প্রতীকী সংসদ

২২ জুলাই ২০২১

দিল্লির যন্তরমন্তরে বৃহস্পতিবার থেকে প্রতীকী সংসদ শুরু করলেন আন্দোলনরত কৃষক নেতারা। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।

https://p.dw.com/p/3xp1J
কৃষক আন্দোলন
ছবি: Aamir Ansari/DW

দিল্লির যন্তরমন্তর ঘিরে রেখেছে পুলিশ। নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী। সেখানেই বৃহস্পতিবার থেকে প্রতীকী সংসদ শুরু করেছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। গত বছর জুন মাস থেকে কৃষি আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন দেশের এক বিপুল অংশের কৃষক। তাদের দাবি ছিল, সরকার কৃষি আইনে সংশোধন করে পুঁজিপতিদের লাভের ব্যবস্থা করছে, কিন্তু কৃষকদের উপকারের কথা ভাবা হচ্ছে না। বস্তুত ওই আইন এলে কৃষকরা প্রভূত সমস্যায় পড়বেন বলে অভিযোগ তাদের। গত নভেম্বরের শেষ দিকে দিল্লি ঘেরাওয়ের ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। তখন থেকে দিল্লির সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দিল্লি উত্তালও হয়ে উঠেছিল। তারপরেও অবস্থান তোলেননি কৃষকরা

ভারতীয় সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে ফের বিক্ষোভের পরিকল্পনা শুরু করেন কৃষকরা। স্থির হয়, পার্লামেন্ট চলাকালীন প্রতীকী সংসদের আয়োজন করবেন কৃষকরা। সেখানে স্পিকার থাকবেন, সরকারপক্ষ এবং বিরোধীপক্ষ থাকবে। কৃষি আইন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।

প্রাথমিক ভাবে দিল্লির প্রশাসন এবং পুলিশ কৃষকদের অনুমতি দেয়নি। এরপর দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রশাসন মেনে নিতে বাধ্য হয়। স্থির হয় ২০৬ জন কৃষক একদিনে একসঙ্গে যন্তরমন্তরের প্রতীকী সংসদে যোগ দিতে পারবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকালে বাস বোঝাই কৃষক দিল্লির সীমান্ত থেকে যন্তরমন্তরের দিকে রওনা হন। কিন্তু মাঝরাস্তায় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। প্রথমে তাদের একটি রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের সংখ্যা গোনে পুলিশ। এরপর যন্তরমন্তরের দিকে ফের রওনা হন কৃষক নেতারা।

কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সংসদের অধিবেশন চালাতে হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিতর্ক করতে হয়, প্রতীকী সংসদে তারা তা দেখাবেন। ৯ অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কৃষক সংসদ চলবে।

কৃষকদের প্রতীকী সংসদ চালানোর অনুমতি দিলেও গোটা দিল্লি জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। সাতটি মেট্রো স্টেশনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।

কৃষকরা অবশ্য জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে তারা এই প্রতীকী সংসদের আয়োজন করবেন। গোলমাল এড়িয়ে চলা হবে। তবে গত ২৬ জানুয়ারি কৃষক আন্দোলন ঘিরে দিল্লিতে যে উত্তাপ ছড়িয়েছিল, সে কথা মাথায় রেখে সতর্ক প্রশাসন।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)