দিল্লিতে মাত্রাছাড়া দূষণে মানুষ অসুস্থ
৪ নভেম্বর ২০২২দিল্লির ওয়াজিরাবাদে এদিন ওয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স(একিউআই) ছিল ৭৯৮। যা কি না, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর খারাপ, বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি দিল্লির একিউআই সকালের দিকে ৩৭০ থেকে ৪৭০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। চিকিৎসকদের মতে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ।
কিছুদিন আগেই দিল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহরের শিরোপা পেয়েছে। তারপরেও পরিস্থিতি ভালো হওয়া দূরস্থান, ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সকাল থেকে ধোঁয়াশার আবরণে ঢাকা পড়ে থাকে দিল্লি। শুক্রবারও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দূষণ ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশ, অবিলম্বে চতুর্থ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার। এই চতুর্থ পর্যায়ের ব্যবস্থা মানে, বাইরে থেকে দিল্লিতে কোনো ডিজেল গাড়ি ঢুকতে পারবে না। ডিজেল ট্রাক, ম্যাটাডোরও নয়। দিল্লির ভিতরে গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডিজেল গাড়ি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে জোড়-বেজোড় বা অড-ইভন আবার চালু করতে হবে। তার অর্থ, নম্বর প্লেটের শেষের অক্ষর জোড় সংখ্যা থাকলে সেই গাড়ি একদিন বেরোবে, বেজোড় সংখ্যা অন্যদিন বের হতে পারবে।
দিল্লিতে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তা, ফ্লাইওভার, পাইপলাইন-সহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যে কারখানাগুলো পিএনজি ছাড়া অন্য জ্বালানিতে চলে, সেগুলিও বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলবন্ধ রাখার ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
দিল্লিবাসীর দুর্ভোগ
গ্রিনপিস সাউথইস্ট এশিয়া অ্যানালিসিস ও আইকিউএয়ারের সমীক্ষা জানাচ্ছে, দূষণের জন্য ২০২০ সালে দিল্লিতে ৫৪ হাজার মানুষের অকালে মৃত্যু হয়েছে। সর্দি, কাশি, জ্বর ও সিওপিডি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন দিল্লিবাসী। তাদের নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগ হচ্ছে। এছাড়া মাথাব্যথা, বমি ভাব, ঝিমুনিতে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বলছে, শ্বাসকষ্ট তো বটেই, হৃদরোগও হতে পারে। দূষণ শরীরে যকৃৎ, মস্তিস্ক, স্নায়ু-সহ অন্য অঙ্গের উপর বিরূপ প্রভাব, ফেলতে পারে।
টিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, তাদের কাছে শ্বাসজনিত সমস্যা নিয়ে প্রচুর মানুষ আসছেন।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, ফার্স্ট পোস্ট, এনডিটিভি)