1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দিল্লিতে রেকর্ড বায়ুদূষণ, চূড়ান্ত সতর্কতা জারি

১৮ নভেম্বর ২০২৪

দিল্লিতে সোমবার সকালে বায়ুদূষণের পরিমাণ ছিল চলতি মরসুমে সবচেয়ে বেশি। চতুর্থ ও চূড়ান্ত পর্যায়ের সতর্কতা জারি।

https://p.dw.com/p/4n61F
দিল্লির রাস্তায় সকালে ১৫০ মিটারের বেশি দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছিল না।
দিল্লির বায়ুদূষণ ভয়ংকর জায়গায় পৌঁছে গেল। সোমবার ছিল এই মরসুমের সবচেয়ে দূষিত দিন। ছবি: Anushree Fadnavis/REUTERS

সোমবার সকালে দিল্লিতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স(একিউআই) ছিল ৭৯৩, এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি। দিল্লির লাগোয়া শহর ফরিদাবাদে একিউআই ছিল  ৮৯৫। সকালে পুরো দিল্লি ছিল ধোঁযাশার চাদরে ঢাকা। ১৫০ মিটারের বেশি দেখা যাচ্ছিল না। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

সকালে দিল্লিবাসীর ঘুম ভাঙে এই চরম দূষণের মধ্যে। রাস্তায় নামতেই দেখা যায়, চারপাশে ধোঁয়া ও ধুলোর আস্তরণ। অনেক মানুষই মাস্ক পরে যাতায়াত করছেন। বেলা বাড়লেও ওই অবস্থার উন্নতি হয়নি। বরং বাড়ির বাইরে বেরোলে ধোঁয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডাও লাগছে। রাস্তায় নামলেই দেখা যাচ্ছে, মানুষ সমানে কাশছেন। এই দূষণের ফলে প্রথমেই মানুষের গলা খারাপ হচ্ছে। সর্দি, জ্বর হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থ প্রতীম বোস আগেই ডিডাব্লিউকে জানিয়েছিলেন, এই সময় বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তার মধ্যে অন্যতম হলো, বারবার গার্গল করা ও স্টিম নেয়া। খুব জরুরি কাজ না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরনোই ভালো। এখন তাদের কাছে আসা রোগীর সংখ্যাও বহুগুণ বেড়ে গেছে।

সকাল থেকে এই অবস্থায় বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়। সকালেই অন্তত চারটি বিমান জয়পুরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অনেক বিমান দেবিতে ওঠানামা করছে। সকালে ইন্ডিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তার পাশের এলাকায় দৃশ্যমানতা ছিল কম।

সর্বোচ্চ সতর্কতা

দিল্লি সরকার সর্বোচ্চ চতুর্থ পর্যায়ের সতর্কতা বা গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান(জিআরএপি ৪) জারি করেছে। এর ফলে দিল্লিতে কোনোরকম নির্মাণকাজ বা ভাঙাভাঙির কাজ করা যাবে না। দিল্লিতে মাটি কাটা যাবে না। গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি চালু হবে। স্কুলে অনলাইন  ক্লাস হবে। খুব জরুরি না হলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়িতে বসে কাজ করা যাবে।

তবে দিল্লি সরকারের কড়া সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন জিআরএপি ৩-এর রূপায়ণে দেরি হলো? কেন এই ঝুঁকিটা নেয়া হলো ? কেন একিউআই তিনশর উপর যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হলো?

সোমবারই জরুরি ভিত্তিতে দূষণ নিয়ে শুনানি হয়। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, তাদের না জানিয়ে যেন কোনো কড়াকড়ি শিথিল না হয়।

দূষণ নিয়ে রাজনীতি

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিল্লির দূষণ এই অবস্থায় পৌঁছেছে। দূষণ পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে এবং তা ভয়ংকর জায়গায় চলে গেছে।

আতিশির অভিযোগ, গত ছয় বছরে মধ্যপ্রদেশে খড় পোড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। তার প্রশ্ন, কেন কেন্দ্র এই খড় পোড়ানো কম করছে না?

দিল্লি বিজেপি বলেছে, দূষণ বাড়ার সব দায় রাজ্য সরকারের। তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এই অবস্থা হয়েছে। দিল্লি বিজেপি-র সভাপতি ও অন্য নেতারা মেট্রো স্টেশনের বাইরে সাধারণ মানুষকে বিনা পয়সায় মাস্ক দেয়া শুরু করেছেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)