1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিকস সম্মেলন

২৭ মার্চ ২০১২

ব্রিকস গোষ্ঠীর চতুর্থ সম্মেলন শুরু হচ্ছে নতুন দিল্লিতে৷ উদ্দেশ্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটা শক্তিশালী বহুপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক গোষ্ঠী গড়ে তোলা৷ কিন্তু বিভিন্ন মহলে এই গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷

https://p.dw.com/p/14Sto
Leaders of the BRIC at the stage seated from left.,India's Prime Minister Manmohan Singh, Russia's President Dmitry Medvedev, China's President Hu Jintao, Brazil's President Dilma Rousseff, and South Africa's President Jacob Zuma attend a joint press conference of the BRICS summit in Sanya, Hainan province, China, Thursday, April 14, 2011. (Foto:Ed Jones, Pool/AP/dapd)
২০১১ সালের ব্রিকস সম্মেলন (ফাইল ছবি)ছবি: AP

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীন – ব্রিকস গোষ্ঠীর এই পাঁচটি দেশে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষের বসবাস৷ বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২৩০ বিলিয়ন ডলার৷ যদিও সদস্য দেশগুলির ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ছে, কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্যের তুলনায় বেশি নয়৷ তবু বিশ্ব ব্যবস্থায় বহুপাক্ষিক এই সংগঠন পশ্চিমা দুনিয়ার এক প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে৷

বিভিন্ন মহলে এই গোষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা এবং সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ কারণ, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার একনায়কত্বের মধ্যে কি মতের মিল সম্ভব?

এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বললেন, এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের অবস্থান এক নয়৷ উভয় দেশের জাতীয় স্বার্থ আলাদা৷ ভারত যেভাবে আন্তঃ আঞ্চলিক কনসেপ্ট তৈরি করার চেষ্টা করছে, সেই অর্থে চীনের কনসেপ্ট ভিন্ন৷ কাজেই এই রকম সংগঠন কতটা সফল হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়৷

সাম্প্রতিক কালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আসিয়ান ছাড়া অন্য কোন গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল হতে পারেনি৷ জাতীয় স্বার্থের পার্থক্যের দরুন ব্রিকস কতটা সার্থক ভূমিকা পালন করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় আছে৷ তবে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো৷ যদি আদর্শগতভাবে জাতীয় স্বার্থের মধ্যে সংঘাত বাঁধে, সেক্ষেত্রে রাশিয়া একটা নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে একটা দিশা নির্দেশ করতে পারে, এমনটাই মনে করেন অধ্যাপক লাহিড়ি৷

ব্রিকস ব্যাংকিং সম্পর্কেও খুব একটা আশা করা যায়না৷ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি চেষ্টা করেছিল আগে কিন্তু সফল হয়নি৷ তাই সাউথ-সাউথ ব্যাংকিং শুরু করা বেশ কঠিন হবে৷

পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন৷ প্রকাশ করা হবে দিল্লি ঘোষণাপত্র৷ তাতে থাকতে পারে সহমতের ইঙ্গিত৷ থাকতে পারে সিরিয়া ও ইরানের পরমাণু সংকট এবং ইউরোপের ঋণ সমস্যা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য