বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২মঙ্গলবার বাংলাদেশের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া এবং ভারতের ত্রিপুরার বাংলা ভাষাভাষী মানুষ নিজেদের ভৌগলিক সীমানা মাড়িয়ে মিলিত হয়েছিলেন একই সুরে মাতৃভাষায় গান গাইতে৷ গেয়েছেন ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের বীরত্ব গাঁথা৷ দুই দেশের জাতীয় পতাকার নিচে গড়ে তোলা অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন দুই প্রান্তের মন্ত্রী, সাংসদ, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ মানুষ৷
দুই দেশের অভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের এই মিলনমেলায় অন্যান্যের মধ্যে যোগ দিয়েছিলেন ত্রিপুরার সংস্কৃতি মন্ত্রী কবি অনিল সরকার, ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য পবিত্র কর, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী ও জিয়াউল হক মৃধা এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ৷
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি, তিতাস আবৃত্তি সংসদ ও ত্রিপুরার নিহারিকা লিটল ম্যাগাজিনের সহযোগিতায় ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এ আনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷ আখাউড়ার অনুষ্ঠান স্থল থেকে ডয়চে ভেলের সাথে টেলিফোন আলাপচারিতায় এবারের একুশের উৎসব নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কথা জানালেন তিতাস আবৃত্তি সংসদের পরিচালক এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মনির হোসেন৷
তিনি বলেন, ‘‘এ উৎসব উপলক্ষ্যে সীমান্তের দুই প্রান্তের দুই দেশের মানুষ যেন কিছু সময়ের জন্য ‘অসীমান্তিক' হয়ে গিয়েছিলাম৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা ত্রিপুরায় ঢুকে ঘোরাঘুরি করে তারপর আবার দেশে ফিরে এসেছে৷ অন্যদিকে ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে ঘুরে দেখার সুযোগ পেয়েছিল৷ সাথে ছিল সারাদিন ব্যাপী নানা ধরণের গান, আবৃত্তি ও মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক